বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর ফরিদপুর সদ্য প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী হাফিজুর রহমান মিন্টু’র গত ২৫ জুন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান তার পর থেকে উদীচী ফরিদপুর জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদকের পদ টি শূন্য থাকার কারণের আজ বিকাল ০৪:০০ টায় উদীচীর জেলা সংসদের এক সাধারণ সভায় মধ্য দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শিক্ষক ও সাংবাদিক রেজাউল করিম।
এবিষয়ে বাংলাদেশ উদীচী কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর জেলার সংসদের সভাপতি আব্দুল মোতালেব তথ্য নিশ্চিত করেন। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন উদীচী ফরিদপুর জেলার উদীচী’র ডা: দিলীপ রায়, উত্তম দত্ত, রাজেন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী, অধ্যাপক চৈতন্য চন্দ্র দাস, অধ্যাপক উত্তম দত্ত, অ্যাডভোকেট গাজী শহীদুজ্জামান লিটন, শিপ্রা গোস্বামী, জেসমিন কবীর, প্রীতিকনা রাহা, হোসনে আরা বেগম, আনোয়ারা বেগম, সংগীত শিক্ষক অসিত কুমার শিল্পী লুৎফুন্নাহার লতা,শ্যামল দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
রেজাউল করিম কর্মজীবনে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ সাপ্তাহিক ইদানিং,ভোরের রানার, দৈনিক সোনালী বার্তা, স্বদেশ প্রতিদিন, ঢাকা ডায়লগ প্রতিকায় প্রতিনিধি ও স্টাফ রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বেসরকারি কলেজ ও প্রাইভেট ইন্সটিটিউটশনে শিক্ষকতা করেছেন। শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে ফরিদপুর জজ কোর্টে প্রাকটিস করেন। পরবর্তীতে তিনি ঐতিহ্যবাহী সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজির সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত আছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন।এছাড়া তিনি ঐতিহ্যবাহী ফরিদপুর প্রেসক্লাব, ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থার সদস্য ও মানবিক সংগঠন সুহৃদের আহ্বায়ক হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে সংগঠকের ভূমিকা পালন করছেন।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সব মানুষের বাসযোগ্য করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লড়াইয়ে উদীচী মাঠে-ময়দানে, নগরে-বন্দরে, গ্রামে-গঞ্জে নবজাগরণের গান গেয়ে চলেছে।
১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর বাংলার প্রথিতযশা কৃষক নেতা ও কথাশিল্পী কমরেড সত্যেন সেন তার তরুণ সহযোদ্ধাদের নিয়ে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী গড়ে তোলেন। পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ সাংস্কৃতিক সংগ্রামে উদীচী মানুষকে শোষণের বিরুদ্ধে একত্রিত করে। তাই তো ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে নব প্রতিষ্ঠিত উদীচী সংগ্রামের তল্লাটজুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। সত্তরে গণমানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সংহতি প্রকাশ করেছে। আর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যখন বাংলার সব মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তখন উদীচীর শিল্পীরা হারমোনিয়াম ছেড়ে অস্ত্র ধরেছেন এবং রণাঙ্গনে সরাসরি সশস্ত্র যুদ্ধে নিঃশঙ্কচিত্তে লড়াই করেছেন।
Leave a Reply