চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ইছাছড়ি ৯নং ওয়ার্ড এলাকায় চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের আওতাধীন হারবাং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বনবিটের জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে বাড়ি ও মুরগীর খামার। সরেজমিন দেখা যায়, হারবাং ইউনিয়নের ইছাছড়ি ৯নং ওয়ার্ডের পেট্রোলপাম্প সংলগ্ন এলাকার আবু সালেহ নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে চলছে বাড়ি ও মুরগির খামার নির্মাণ। এ বিষয়ে আবু সালেহের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হারবাং বন্যপ্রার্ণী অভয়ারণ্যের জায়গা হলেও তা আমরা অনেক আগে থেকেই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের বনবিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে দখলে আছি। তিনি আরো বলেন, বাড়ি এবং মুরগির খামারটা মূলত আমার বোন তৈরি করতেছে। এসব করতেও বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের বনবিট কর্মকর্তাকে দিতে হয়েছে মোটা অংকের চাঁদা। এদিকে, এ বিষয়ে জানতে আবু সালেহের বোন জানান, তারা এ জায়গাটি ৫/৬ বছর ধরে দখলে আছি। বাড়ির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। তবে ব্যবসার উদ্দেশ্যে মুরগির খামারটি নির্মাণ করতেছি। কিন্তু এখানে বাড়ি এবং মুরগির খামারটি নির্মাণ করার আগেই চাঁদা পৌঁছে দিতে হয়েছে হারবাং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বনবিট কর্মকর্তার কাছে। তা না হলে হারবাং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের বনবিট কর্মকর্তা একটি খুঁটিও স্থাপন করতে দিবেন বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, তাদের চাঁদা না দিয়ে যদি কোন কিছু নির্মাণ করা হয় তাহলে তারা মূহুর্তের মধ্যেই ভেঙে তছনছ করে দিবে। তবে আমাদের বাড়ি এবং মুরগির খামার নির্মাণের জন্য বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের বনবিট কর্মকর্তাকে মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে ম্যানেজ করেছে আমার ভাই আবু সালেহ। অন্যদিকে এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিকরা হারবাংস্থ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের বনবিট কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে বিট কর্মকর্তার দেখা মেলেনি। তবে বিট কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে সেখানে থাকা এক ফরেষ্ট গার্ডের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি এ জায়গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের নয় দাবী করেন এবং চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি ও অস্বীকার করেন। পরে সাংবাদিকদের গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও এবং বনভূমি দখলকারীদের বক্তব্য তাকে দেখালে তিনি বলেন এ বিষয়ে বিটকর্মকর্তার সাথে কথা বলতে। পরে হারবাং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের বনবিট কর্মকর্তা আজহার রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করার পরও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন রিসিভ করার অনুরোধ জানিয়ে নাম্বারে পাঠানো হয় একটি ক্ষুদে বার্তাও। এরপরও বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্যঃ বনভূমি দখলবাজদের সাথে কথা বলার সময় গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওটি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ আছে হারবাং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের বনবিট কর্মকর্তাকে চাঁদা দিয়েই তারা বনভূমি দখল করছে।
Leave a Reply