দক্ষিণবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ হলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সৌন্দর্যে মেতেছে কাশফুল। ছয় ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। বিশ্বের সকল দেশে ছয়টি ঋতুর আগমন কখনই ঘটে না। বাংলাদেশে প্রতি ঋতুরই রয়েছে আলাদা আলাদা পরিচয়। আর ঋতুর পার্থক্য ফুটে ওঠে ফুলে। শরৎতে সাদা কাশফুল ছাড়াও ফোটে আরও অনেক সহচরী ফুল। সেই সৌন্দর্যের প্রতীক নিয়ে কাশফুল ভরে ওঠে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস জুরে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জুরে শুভ্রতা ছড়াচ্ছে কাশফুল। শুধু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের না বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নানা ধরনের মানুষ ছুটে আসে সৌন্দর্য উপভোগ করতে। বিকাল হলেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে। কাশফুলকে ঘিরে চলতে থাকে মানুষের মনে আনন্দের ঢেউ। বাংলা সাহিত্যে শরৎ ও কাশফুলের কথা এসেছে নানাভাবে। শরৎ ও কাশফুলের বন্দনা তাই তো কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায়, ‘কাশফুল মনে সাদা শিহরণ জাগায়, মন বলে কত সুন্দর প্রকৃতি, স্রষ্টার কি অপার সৃষ্টি।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আয়শা সিদ্দিকা বলেন, কাশফুল ক্যাম্পাসের সুন্দর্যকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আগের থেকে অনেক মানুষ ঘুরতে আসছে। ক্যাম্পাসে একটা উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যা সত্যি দারুণ লাগছে।
দর্শনার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে এতো কাশফুল একসাথে খুবি কম আছে। সে ক্ষেত্রে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় খুব সুন্দর একটি জায়গা। যেখানে একসাথে অনেক কাশফুল পাওয়া যায়। এখানে বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে মানুষের আকর্ষণ অনেক বাড়ছে। আগে অন্য সময় আমরা ক্যাম্পাসে আসছি কিন্তু এতো মানুষের সমাগম হয় নায়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য এই কাশফুলের জন্য অনেক ফুটে উঠছে।
Leave a Reply