জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ পালন করতে যাচ্ছে দক্ষিনবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বর্ণিল ও জাকজমকপূর্ণ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে।
বাউল সম্রাট লালন শাহের স্মরণে ” এমন সমাজ কবে গো সৃজন হবে, যেদিন হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান গোত্র নাহি বরে”, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উদযাপিত হবে এবছরের মঙ্গল শোভাযাত্রা। শিল্পকর্মগুলোও তৈরি করা হচ্ছে শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্যের সাথে মিল রেখে।
মহামারির কারণে গত দুবছর হয়নি মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবার মহামারির প্রকোপ থেকে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তাই বাংলা নতুন বছর ১৪২৯ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিতে মঙ্গল শোভাযাত্রার শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে বেশ ব্যস্ততম দিন পার করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারই অংশ হিসেবে সরাই, কাগজ, চাটাই, কাপড়সহ নানা উপকরণে নকশার কাজ চলছে পুরোদমে। কাঠ, বাঁশ, বেত, কাগজ, রং নিয়ে ব্যস্ত তারা।
চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী কংকা সাহা তিতলি জানান, গত দুই বছর করোনার কারণে এ উৎসব উদযাপন সম্ভব হয়নি। প্রায় দুবছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হবে এ নিয়ে সকল শিক্ষার্থীদের মাঝেই এক উচ্ছ্বাস কাজ করছে। আমরা এই উৎসবের অংশ হতে পেরে খুবই আনন্দিত।
চারুকলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সুদ্বিপ রায় জানান,
কুষ্টিয়ায় লালনকে নিয়ে অনেক ঐতিহ্য আছে। এর প্রেক্ষিতে নববর্ষে আমরা লালন এবং একতারাকে প্রতিপাদ্য রেখে কাজ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগের আয়োজনে প্রথম বাংলা নববর্ষ। এই অনুষ্ঠানে কাজ করতে পেরে আমরা খুব খুশি।
বর্ষবরণের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে চারুকলা বিভাগের প্রভাষক ইমতিয়াজ রাসেল বলেন, কুষ্টিয়া যেহেতু বাউল সম্রাট লালনকে ধারণ করে তাই আমরা মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্যে লালন শাহ কে প্রাধান্য দিয়েছি। আমাদের শোভাযাত্রার শিল্পকর্মতেও জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা যে মানুষ এই বিষয়টিকে প্রধান্য দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘসময় আমরা মহামারীতে অতিক্রম করেছি। এবছর সকল খারাপ সময়কে বিদায় জানিয়ে আমরা মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে চারিদিকে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে চায়।
Leave a Reply