কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় দুধকুমর নদীর কোল ঘোষা বেরুবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড।এই ওয়াডে কয়েক হাজার জনগোষ্ঠী বসবাস করেলেও ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের ছোঁয়া এখনো লাগেনি।
ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য মুখে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তারা ভোটে পাস করলে ওসব কথা তাদের খেয়াল ই থাকে না।
বেরুবাড়ী বাজার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত এই ওয়ার্ড টি।এখানে আছে দুটি মানব গড়ার প্রতিষ্ঠান, যার নামদাম অনেক বেশী।একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়,অন্যটি মধ্যমিক বিদ্যালয়।বিদ্যালয় দুটির সুনাম থাকায় স্থানীয় শিক্ষার্থী ছাড়াও ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসে।স্কুলের বেশির ভাগ শিক্ষক স্থানীয় নয়।তারা অনেক দুর থেকে আসেন। এদিকে পার্শবতী ইউনিয়ন কালীগঞ্জের তুলনায় বেরুবাড়ীর দুরত্ব কম হওয়ায় কালীগঞ্জের শতকরা ২০ ভাগ লোক বেরুবাড়ীতে তাদের নিত্য পণ্য কিনে আনে।পাশাপাশি কালীগঞ্জ থেকে নাগেশ্বরী যাইতে তাদের ৭/৮ কিলোমিটার ঘুরতে হয়েছে যেখানে এই রাস্তাটি পাকা হলে তাদের ৩/৪ কিলোমিটার ঘুরতে হবে না।তাদের সময় বাঁচবে অর্থ বাঁচবে। রাস্তাটি পাকা করার জন বিভিন্ন সময়ে২০১৪, ২০১৫,২০১৭,২০১৮দুই/চার বার কতৃপক্ষ মেপে গেলেও এখনো কাজ হয় নি।রাস্তায় যেখানে বন্যায় হাঁটু পানির বেশী পানি থাকে সেখানে ৪০ দিনের কর্মসূচি রাস্তায় কাজ করার পরিবর্তে তারা মানুষের বাড়ীতে কাজ করে দেয়।রাস্তা মেরামতের বদলে তারা প্রতিনিধি কর্মীদের ঘরে,বাড়ীতে মাটি কাটায়,ধান কাটা মৌসুসে ধান কাটায়,খড়ের স্তুপ দেওয়ায় ইত্যাদি। গত বর্ষায় রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হলে কয়েকজন স্থানীয় অটোরিকশা চালক রাস্তাকে চলাচলের যোগ্য করে তোলার জন্য রাস্তার পাশ কেটেখালখন্দর ভরাট করে এবং চাঁদার হার নিধারন করে ভাঙ্গা ইট পাটকেল,বালু, এনে রাস্তা ফেলে।কিন্তু স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে গত জুলাই মাস থেকে আজ পযন্ত রাস্তার কোন খালখন্দর ভরাট করা হয় নি। ফল স্বরুপ প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
রাস্তাটি পাকা হলে এলাকায় শিল্পায়ন হবে,বেকারত্ব লাঘব হবে,দারিদ্র্যতা কমে আসবে।কেননা উন্নয়নের প্রথম শর্তই হচ্ছে ভালো মানের যোগাযোগ ব্যবস্থা।কাদা আর ধুলোর হাত থেকে বাচার জন্য এলাকাবাসী বলছে আমরা চাল চাই না,ডাল চাই না,কোন ত্রান সামগ্রী চাই না।আমারা চাই আমাদের কষ্ট লাঘব করতে।আমাদের একটাই দাবি রাস্তা পাকা করতেই হবে।
Leave a Reply