গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর একুশে ফ্রেবুয়ারি লাইব্রেরি ভবন থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে।
এর আগে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ৯১ টি কম্পিউটার চুরির কথা জানানো হলেও গণনায় ভুল ছিলো জানিয়ে আজ নতুন করে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম।
কম্পিউটার চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আইন অনুষদের ডিন জনাব কুদ্দুস মিয়াকে সভাপতি ও রেজিস্ট্রার ড. নূর উদ্দীন আহমেদকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর আব্দুর রহিম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী এস্কান্দার আলী, প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান নাছিরুল ইসলাম ও সহকারী প্রক্টর মো. নজরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য ঈদের ছুটি শেষ করে রবিবার থেকে সীমিত পরিসরে সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর চুরির বিষয়টি জানা যায় বলে গতকাল জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েরর রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড.নূর উদ্দীন আহমেদ।সেসময় ৯১টি কম্পিউটার চুরির কথা জানান তিনি।তবে আজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয় লাইব্রেরিতে ৯১ টি কম্পিউটার থাকলেও চুরি হয়েছে ৪৯ টি।বাকিগুলো এখনো লাইব্রেরি ভবনেই আছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে আরো দুবার বশেমুরবিপ্রবিতে চুরির ঘটনা ঘটেছিলো। এর মধ্যে একটি ঘটনায় মামলা হলেও কোনো আসামীকে শনাক্ত করা যায়নি।
এদিকে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় বন্ধ ছিলো বশেমুরবিপ্রবি।ছুটিকালীন এই সময়ে শিক্ষার্থীদের মেস ও ফ্লাট বাড়িতে ঘটেছে একাধিক চুরির ঘটনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গা থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরিতে ফুঁসে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অপ্রতুল উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী।
Leave a Reply