গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরির চেষ্টা করেছে এক সাংবাদিক। চ্যানেল ২৪ অনলাইন এর বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি অহনা মজুমদার অবৈধভাবে শেখ রেহানা হলের ১০৯ নং কক্ষের একটা সিট অবৈধভাবে দখল করে রাখলে বৈধ শিক্ষার্থী এ বিষয়ে প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।একই সাথে ১০৯ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় ক্ষমতার অপপ্রয়োগ,হুমকি প্রদানের বিষয়ে নিরাপত্তা চেয়ে আরেকটি পৃথক আবেদন করে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক নিন্দার ঝড় ওঠে। এ সময় উক্ত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করে মন্তব্য করে। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অহনা মজুমদার সাম্প্রদায়িক হেনস্তার শিকার বলে একটি স্ট্যাটাস দেয়।এ সময় সে পূর্বে সমাধান হওয়া একটি বিষয়কে সামনে এনে সে সাম্প্রদায়িকভাবে হেনস্তা হচ্ছে বলে জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির অবস্থা সৃষ্টি হয়।এছাড়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরির মতো সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু পরবর্তীতে জানা গেছে অহনা মজুমদারের বলা সাম্প্রদায়িক হেনস্তার বিষয়টি হলের সিট দখলের সাথে সম্পর্কিত নয় বরং তা এক মাস আগেই সমাধান হয়ে গেছে। জানা গেছে, হলের কক্ষের ভেতরে দেবতার ছবি ছবি রাখাকে কেন্দ্র করে রুমমেটদের সাথে ঝগড়া হলে বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক ও র্যাগিং বলে অভিহিত করে একটি অভিযোগ প্রদান করেন সাংবাদিক অহনা মজুমদার। সে সময় হল প্রভোস্ট মোঃ রোকনুজ্জামান, সহকারী হল প্রভোস্ট ইসরাত জাহান দিনা,মাহাবুবা উদ্দিন ওই কক্ষের সবার সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করা হয়। পরবর্তীতে আর এ বিষয়ে প্রভোস্ট বরাবর কোনো অভিযোগ আসে নি। এমনকি হলের সিট দখলের সাথে সাম্প্রদায়িক কোনো বিষয় সম্পকৃত নয় বলে স্বীকার করেছেন হল প্রভোস্ট মোঃ রোকনুজ্জামান।
এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান নি অহনা মজুমদার।
শেখ রেহানা হলের প্রভোস্ট মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, “অহনার সিট দখল করে রাখার সাথে সাম্প্রদায়িক কোনো বিষয় নেই।তাকে ২১৭ নং রুমে এলট দেয়া হয়।তবুও উপাচার্যের নির্দেশে ২৮ জুলাই অব্দি হলে থাকার জন্য বলা হলেও তার পরেও সে সিট দখল করে রাখে।এরপর আমি একজন সহকারী হল প্রভোস্টসহ বিষয়টি সমাধান করতে গেলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং অহনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ দিতে থাকে। পরবর্তীতে অহনাকে তার এলট হওয়া সিটে যেতে বলে প্রায় দুই ঘন্টা অপেক্ষা করে চলে আসি।পরে জানতে পারি,তখনও হলের সিট ছাড়ে নি অহনা।”
এদিকে পূর্বের সমাধান হওয়া বিষয়কে সামনে এনে সাম্প্রদায়িক ইস্যু তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য সাংবাদিক অহনা মজুমদারের শাস্তির দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হলে সেখানে সাংবাদিক অহনা সাম্প্রদায়িক মিথ্যাচার উন্মোচন করায় বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি কে.এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফ এর বিরুদ্ধে জিডি করার হুমকির প্রকাশ পায়।
Leave a Reply