গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) চার ছাত্রীকে এক নির্মাণ শ্রমিক কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করে। এ ঘটনায় ওই নির্মাণ শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গত শনিবার বশেমুরবিপ্রবিতে উন্নয়নমূলক কাজে নিয়োজিত নির্মাণ শ্রমিক রাজু চার ছাত্রীকে অশ্লীল ইঙ্গিত করেন। এতে এক ছাত্রী বাদি ও অপর তিন ছাত্রী স্বাক্ষী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান অভিযুক্ত রাজু চার শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্য করে একাধিকবার অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী করে।পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালে প্রশাসনের পরামর্শে মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় অভিযুক্ত রাজু পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার আব্দুল জব্বারের ছেলে। সে বশেমুরবিপ্রবিতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে।
পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, গোপালগঞ্জ সদর থানায় এই প্রথম কোন মামলা দায়েরের দশ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় আঙ্গিনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আহাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই শিক্ষার্থীকে এক প্রকার হেনস্তা করা হয়েছে।এটা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।ক্যাম্পাস বন্ধ থাকুক কিংবা খোলা থাকুক,সার্বক্ষনিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত চাই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শেখ মেহেদী হাসান (প্রান্ত) বলেন “বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই ক্যাম্পাসেরই শিক্ষার্থীর এমন দুঃখজনক ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও উদ্বেগজনক।শিক্ষার্থীরা যদি নিজ ক্যাম্পাসেই নিরাপদ না থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই পরিতাপের বিষয়।তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাই অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।”
এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।
বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রকিবুল ইসলাম বলেন “এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষিকাকেও বিব্রতকর অবস্থায় পরতে হয়েছে। “
Leave a Reply