গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসক্লাব ও সংগঠনটির সভাপতি কে.এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফ এর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ক্ষোভের প্রকাশ পেয়েছে। একটি তথ্য প্রকাশকে কেন্দ্র করে এ ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনও করেছেন।
জানা গেছে, ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় সমিতি থেকে ৫ জন সদস্য নিজেদের ব্যর্থতা উল্লেখ করে পদত্যাগ করেন। এ বিষয়ে পদত্যাগকারী সাধারণ সম্পাদক সাহেদুল ইসলাম পদত্যাগের জন্য বিভাগের সভাপতি কর্তৃক সমিতির সাথে সমন্বয় ও আলোচনা না করেই আর্থিক খরচাপাতি পরিচালনা ও ব্যয়, নিজের মতামত শিক্ষার্থী ও সমিতির উপর চাপিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন কারণে তারা কাজ করতে পারেন নি বলে ব্যর্থতার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান। অপরদিকে এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান। দু’জনের বক্তব্য তুলে ধরেই পদত্যাগের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসক্লাবের গ্রুপে ও পেইজে প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি মানতে পারেন নি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলেন তারা। পাশাপাশি মিথ্যাচার করার অভিযোগে দোষীদের শাস্তি দাবি করে শনিবার মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি কে.এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফ বলেন, সমিতিতে ৫ জন ছিলো যারা সবাই পদত্যাগ করেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক কিছু অভিযোগ সামনে আনেন আবার বিভাগের সভাপতি সেটি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। আমি উভয়ের বক্তব্যই প্রকাশ করে পদত্যাগের ঘটনাটি প্রকাশ করি। এখানে আমার নিজের কোনো মন্তব্য নেই।এই লেখা প্রকাশের অনেক আগেই স্যার জানতেন বিষয়টি সম্পর্কে। এছাড়া স্যারের বিভাগের একাধিক শিক্ষক সবকিছু জেনে এ বিষয়ে আমার কোনো ভূমিকা নেই বলে জানান ও বিষয়টি অভ্যন্তরীণ বিবেচনায় সমাধান করবেন বলে জানান। এরপরও যেহেতু মানববন্ধন হয়েছে, সেহেতু প্রশাসন চাইলে তদন্ত করে দেখতে পারে পদত্যাগের ঘটনা এবং সে বিষয়ে দুই পক্ষেরই বক্তব্যের বাইরে আমি মনগড়া নিজের মতো করে অতিরিক্ত কোনো কিছু লিখেছি কিনা। আমি লিখে থাকলে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারে প্রশাসন।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আর.এস. মাহমুদ হাসান বলেন, একজন অপরাধ করলে তার জন্য আইন রয়েছে। কিন্তু একই অপরাধ করে ফেললে তাদেরও বিচার হওয়া প্রয়োজন। বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব ও সংগঠনের সভাপতিকে নিয়ে কতিপয় ১/২ জন শিক্ষার্থী বিপথগামী শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত আপত্তিকর, বাজে ভাষায় শুধু কথা বলেন নি,সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত একটা ঘটনারও অবতারণা করেছেন। এছাড়া সম্প্রতি হাইকোর্ট কর্তৃক প্রকাশিত একটি রায়ের বিরুদ্ধেও স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। যা আদালত অবমাননার শামিল। এছাড়া আমাদের সভাপতি যখন পদত্যাগের বিষয়টি প্রকাশ করেন,তার দু’দিন পূর্বেই উভয় পক্ষের দায়িত্বশীল ব্যক্তির বক্তব্যের প্রমাণ আমাদের কাছে দেন এবং তা সংরক্ষিত রয়েছে। যেখানে তাদের বক্তব্য এবং পদত্যাগ করার বিষয়ের বাইরে কিছু লেখা হয় নি। এখানে বিভাগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের প্রয়োজন ছিলো নিজেদের সমস্যাটি সমাধান করার। তা না করে তথ্য প্রকাশের জন্য যেভাবে একটি সংগঠনকে আক্রমণ করেছেন, তাতে এটি পূর্ব পরিকল্পিত কিংবা পুরনো কোনো ক্ষোভের কারণে হয়েছে কিনা,সে বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সন্দিহান। কারণ, যেখানে নিজেদের মতপার্থক্যকে কেন্দ্র করে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে নিজেরা সমাধান না করে একটা সংগঠনকে টার্গেট করে বক্তব্য, মিথ্যাচার এবং আপত্তিকর মন্তব্য করা হচ্ছে।
এদিকে শনিবারের মানববন্ধন থেকে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply