পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা লঞ্চঘাটের ইজারাদারকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ ৪ জনকে আসামী করে বাউফল থানা ও দুমকী থানায় পৃথক পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বাউফল পুলিশ অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছর বগা লঞ্চঘাটের ইজারার দায়িত্ব পান বগা ইউনিয়নের বানাজোড়া গ্রামের আজাহার আলী আকনের ছেলে শাহাবুদ্দিন আকন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ১ জুলাই তাকে বগা লঞ্চঘাটের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।
২ জুলাই সকার আনুমানিক ১০:০০ ঘটিকার সময় প্রকাশ্যে বগাঘাটে এসে ঘাট ইজারাদার দের ঘাট ছেড়ে চলে যেতে বলেন অন্যথায় প্রাণ নাশের হুমকি দেন । রাতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ডেকে নিয়ে ইজারাদার শাহাবুদ্দিন আকন ও তার শ্রমিকদের খুন জখমের হুমকি দেন। এ সময় শাহাবুদ্দিন আকনের বড় ভাই জালাল আকনের মুঠোফোনে কল দিয়ে আ”লীগ নেতা মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘তোমার ভাইকে ঘাট ছেড়ে দিতে বল,
না হয় হাসপাতালে বেড রেডি কর’।
এ বিষয়ে শাহাবুদ্দিন আকন শনিবার (৩ জুলাই) বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও তার ছেলে বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসানসহ ৪ জনকে আসামী করে বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অপরদিকে একই দিনে মো.আবদুল মালেক মীর নামক অপর ইজারা অংশিদার রোজ রবিবার ৪/৭/২০২১ ইং তারিখ দুমকী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন । অভিযোগে তিনি জানান,মো.মোতালেব হাওলাদার(৬২),মাহামুদ হাসান,(৩২) হাসিবুর রহমান (৩০),আলী আশরাফ,মিলন(৪০),মিলন সিকদার (৩০) প্রতিদিনের ন্যায় আমি টোল আদায়ের কাজে গেলে প্রতিপক্ষরা মো.মোতালেব হাওলাদার সহ সকল বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বগা লঞ্চঘাট এলাকায় এসে আমাকে ঘাট ছেড়ে চলে যেতে বলে অন্যথায় আমাকে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায় ।
বর্তমানে শাহাবুদ্দিন আকন ও মো.আবদুল মালেক মীর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কারণ বিবাদি মো. মোতালেব হাওলাদার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ২য় বিবাধি মো.মাহামুদ হাসান বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ায় দলীয় পেশিশক্তি আর টাকার গরমের কারণে প্রশাসন তাদের হাতে বলে মনে করছেন ভুক্তভুগীরা। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তারা ।
দুমকী থানার ওসি মো.মেহদী হাসান প্রতিবেদককে জানান আমরা আ.মালেক মীর এর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে । অভিযোগ সত্যতা পেলে আমরা আইনি ব্যাবস্থা নিবো ।
অবশ্য হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, এসব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।
মূল ইজারাদার শাহাবুদ্দিন আকনের দেয়া অভিযোগে বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, লিখিত অভিযোগটি আমরা সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছি।
Leave a Reply