বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন থাকলেও অধিকাংশ বিকল;শিক্ষার্থীরা ঝুঁকছে কলেজের শিক্ষকদের টিউশন ব্যাচে।কবি নজরুল সরকারি কলেজের বায়োমেট্রিক পদ্ধতি হাজিরার জন্য মেশিন থাকলে হাজিরা হয় না মেশিনে, এতে করে অপচয় হচ্ছে কলেজ ও সরকারের টাকা ও ব্যবহার না হওয়ায় পরে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে গেছে অর্ধেক বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন।কলেজটির তিন টি ভবনে মোট প্রায় ১৪ টি বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন থাকলেও সচল আছে মাত্র ৬ টি। সচল থাকা হাজিরা মেশিন গুলোও ব্যবহার হচ্ছে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
ক্যাম্পাসটিতে শিক্ষাথীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরাতে চালু করা হয় ২৪ জুন ২০১৮ সালে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মাত্র ৫ বছরেই ভেঙ্গে পড়েছে ডিজিটাল বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি। ফলে কমেছে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি হার, যে কারণে গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে কমেছে পাশের হার।
এবিষয়ে কলেজ টি দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরমান হোসেনের অভিভাবকের বাবা আফজাল হোসেন বলেন,আগে কলেজে পড়ালেখার মান ভালো ছিল কিন্তু এখন দিন দিন তা তলানিতে ঠেকেছে। আগে ছেলে নিয়মিত কলেজে না আসলে ফোনে মেসেজ আসতো। এখন আর মেসেজ আসে না। কলেজের চেয়ে ছেলে-মেয়েরা এখন কলেজের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ে। কলেজের শিক্ষকরাও কলেজে না আসলে কিছু বলে না।
আরেক অভিভাবক হুমায়রা নাজমুল বলেন, আমি আমার মেয়ে দ্বাদশ শ্রেনিতে পড়ে, মেয়েকে নিয়ে সেই নারায়ণগঞ্জ থেকে আসি নিয়মিত। কিন্তু আজ প্রায় দুই বছর হতে চলল কিন্তু ওকে কখনও মেশিনে হাজিরা দিতে দেখি নি। প্রথম দিকে কয়েক দিন চেষ্টা করেছিল কিন্তু অধিকাংশ মেশিনই বিকল ও ভুল উপস্থিতি আসে।বায়োমেট্রিক হাজিরার বিষয়ে দ্বাদশ শ্রেনির শিক্ষার্থী অমিত চন্দ্র সাহা জানান,একাদশ শ্রেনিতে প্রথম ৬ মাস ব্যায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা হলেও এখন আর হয় না।ফলে অনেকে আবার কলেজের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ে তারা কলেজে না এসেও এখন অনেকে নিয়মিত শিক্ষাথীদের অন্তভূক্ত হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার হলে তাকে পাওয়া যায় নি।
Leave a Reply