বাংলাদেশে এই প্রথম মনোবিজ্ঞানকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঠদান এবং গবেষণার স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ স্কুল সাইকোলজি সোসাইটি, এক্সিলেন্স এওয়ার্ড ২০২১ এর আয়োজন করে। এতে ঢাবি, রাবি, চবি, জবি, বশেমুরপ্রবি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষক শিক্ষিকাগণ অংশগ্রহণ করেন।
গত ৩০ জুন ২০২১, বিকাল ৫.০০ টায় বাংলাদেশ স্কুল সাইকোলজি সোসাইটির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই ওয়েবইনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মশিউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পলিসি রিসার্চ সেন্টার (পিআরসি) বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আকবার উদ্দিন আহমেদ এবং প্রফেসর ড. আবদুল খালেক (এডজাঙ্কট প্রফেসর, ইউনিভার্সিটি অব কানেক্টিকাট, যুক্তরাষ্ট্র)। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ মনোবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রওশন আলী, প্রফেসর ড. হামিদা আকতার বেগমসহ ভারত, নেপাল এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের শিক্ষকগণ। অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক এবং প্রভাষক – এই চার ক্যাটাগরিতে মনোবিজ্ঞানে শিক্ষা ও গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নির্বাচিত হন। অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন (ঢাবি), অশোক কুমার সাহা (জবি), কাজী সাইফুদ্দীন (জবি) এবং সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে মোঃ নুরূল ইসলাম (চবি), সামসাদ আফরিন হিমি (জবি), মোঃ নূর-ই-আলম সিদ্দিকী (রাবি) নির্বাচিত হন। এছাড়া সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে নিতাই কুমার সাহা (রাজশাহী কলেজ), সানজিদা খান (জবি), অলি আহমেদ (চবি) এবং প্রভাষক ক্যাটাগরিতে জাকিয়া রহমান (ঢাবি), এস এম রুমানা পারভীন (বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ) নির্বাচিত হন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত ছিল পুরোটা সময়। শিক্ষার্থীরা মনোবিজ্ঞান নিয়ে তাদের মতামত এবং অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
বিএসপিএস সংগঠনের এওয়ার্ড প্রসঙ্গে জবি মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আশোক কুমার সাহা মুঠোফোনে বলেন, শিক্ষকদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে একটি এওয়ার্ড দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আমাদের দেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয় যেটা করতে পারেনি বাংলাদেশ সাইকোলজিক্যাল স্কুল সোসাইটি সেটা পেরেছে। যেহেতু তাদের এটা প্রথম আয়োজন যদি কোন ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে তারপর ও তাদের ধন্যবাদ জানাই। বিভিন্ন পরিসংখ্যান বিচার বিশ্লেষণ করে তারা এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছেন তাদের এ পরিশ্রম একদিন সাফল্যের দেখা পাবে আশা করি।
তিনি আরো বলেন, আমেরিকা সহ অন্যন্য উন্নতবিশ্বে মূল্যায়নের ভিত্তিতে এরকম এওয়ার্ড দেওয়ার প্রচলন রয়েছে এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে অন্যরকম এক উৎসাহ কাজ করে। আশা করি বাংলাদেশে চালু হওয়া এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
মনোবিজ্ঞান বিভাগের চার শিক্ষকের এমন সাফল্যের ব্যাপারে বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে চারজন শিক্ষক দুজন অধ্যাপক দুজন সহকারী অধ্যাপক পদে নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে বিভাগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। তাদের একাডেমিক দক্ষতায় জবি মনোবিজ্ঞান বিভাগ সামনের দিকে আরো এগিয়ে যাবে সে প্রত্যাশা করি। তাদেরকে বিভাগের পক্ষ থেকেও পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেন তিনি।
বিএসপিএস এর সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন মনোবিজ্ঞানকে এগিয়ে নিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ স্কুল সাইকোলজি সোসাইটির এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply