এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছে শিক্ষার্থীরা।কিছুদিন ধরে ‘করোনার মধ্যে এইচএসসি নয়’ শিরোনামে ভার্চুয়াল আন্দোলন চললে তা নিয়ে প্রথম বাংলাদেশ সারাবেলা সংবাদ প্রকাশের পর দৃষ্টি কাড়ে সকলের।পরবর্তীতে প্রথম সারির ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় উঠে আসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি।
এবার বিশ্ববিদ্যালয় সেপ্টেম্বরের মধ্যে খুলে দিতে ফেইসবুকে গ্রুপ খুলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তুলে ধরছেন তাদের যুক্তি,জানাচ্ছেন সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার দাবি।
গ্রুপের বিভিন্ন জনের সাথে বাংলাদেশ সারাবেলা’র কথা হয়।তাদের যুক্তি গুলো তুলে ধরছে বাংলাদেশ সারাবেলা।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদয় সরকার বলেন-
“গনপরিবহনে ছোট যায়গায় ৪০-৫০ জন যাত্রী উঠতে পারলে,বিশ্ববিদ্যালয় চলবেনা কেন?
গনপরিবহন চালু,আজ প্রায় ৩মাসের কাছাকাছি । গণসংক্রমন হওয়ার থাকলে,গত ৩মাসে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতো। কিন্তু পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক।
হাট,বাজার,পার্ক,ভ্রমন,বিনোদন কেন্দ্র খোলা থাকতে পারলে,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকতে পারে।
ইতালি,চীন,আমেরিকাতে অনেক অঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করছে।
আগামী কয়েকমাস বিশ্ববিদ্যালয় না খুললে, শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে হতাশাগ্রস্থ হবে। তাদের মাঝে আত্বহত্যা প্রবনতা বাড়বে।”
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর মজুমদার অন্তু বলেন বলেন “করোনায় স্বাস্থ্যঝুকিতে সবথেকে বেশী ৪০/৫০ বছর বয়সের মানুষজন।
আর সব থেকে কম ১৮-৩০ বছরের মানুষজন।
কিন্তু বয়স্করা সবাই ই কাজের জন্য বাইরে যাচ্ছে কিন্তু যাদের ঝুঁকি কম তাদের শুধু শুধু আটকে রাখা হচ্ছে।”
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বলেন “বিশ্ববিদ্যালয় না খোলার কারনে মানসিক ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছে অনেক ছাত্র ছাত্রী।ফলে আত্নহত্যার প্রবনতা বাড়ছে।”
ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল সুরাইয়া মুন বলেন “স্কুল অফ রেখে অন্তত ভার্সিটি খুলা উচিত।নইলে চাকরির বয়স বাড়ানো উচিত।”
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বনলতা সেন বলেন “আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর বন্ধ রাখার মূল কারণ হল করোনা পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করা। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতীত বাংলাদেশের প্রতিটা সেক্টর স্বাভাবিক ভাবেই চলছে যার ফলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার কোন সম্ভাবনা নেই। আর ভ্যাকসিনের আশায় বসে থাকলে নিশ্চয়ই আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। সেটা কি সম্ভব?? তাছাড়া আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তাদের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা রয়েছে। বারবার আবাসিক হলের কথা আসছে। তাহলে আমরা কি গার্মেন্টসে যারা কাজ করে তাদের চেয়ে নিশ্চয়ই বেশি গাদাগাদি করে থাকি না।”
বন্ধ থাকুক! ২০২১ থেকে শুরু করা হোউক!
চাই না এই সময়ে খোলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!!
এভাবে বন্ধ থাকলে আমরা সবাই পাগল হয়ে যাবো। করোনা কবে যাবে তাতো আমরা নিশ্চিত না, তাই এভাবে অপেক্ষা করার কোনো মানেই হয় না।