নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়ায় প্রদীপ গমেজ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জমি বিক্রি করে দুই বছরেও ক্রেতাকে জমির দখল বুঝিয়ে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি জমির দখল নিতে গেলে উল্টো নানাভাবে হুমকি প্রদানসহ হয়রানী ও অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
রোববার এ ব্যাপারে বনপাড়া খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ইউনিয়নের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত রোজারিও, সাবেক চেয়ারম্যান বাবলু রেনাতোস কোড়াইয়া, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সেন্টু পল কস্তা, সেক্রেটারী শিল্পী ক্রস ও নির্বাহী প্রধান পরিমল গমেজ, ফাদার দিলীপ এস কস্তা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক বেনেডিক্ট গমেজ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, বনপাড়ার মৃত জন গমেজের ছেলে প্রদীপ গমেজ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়লে ২০১৯ সালে একই এলাকার আকবর আলীর কাছে বনপাড়া মৌজার ১৪৯ হালদাগের সাড়ে ছয় শতাংশ ভিটা জমি বিক্রির জন্য বায়নানামা করেন। পরে বনপাড়া খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের নেতারা বিষয়টি জানতে পেরে আকবর আলীকে বায়নার টাকা ফেরৎ দিয়ে তারা একই বছরের ১৯ মার্চ জমিটি ক্রেডিট ইউনিয়নের নামে ২২ লাখ টাকা দাম পরিশোধ করে কিনে নেন। পরে সে জমি নিয়ম অনুযায়ী খাজনা-খারিজও সম্পন্ন করা হয়েছে।
সম্প্রতি তাদেরকে জমিটুকু বুঝিয়ে দিতে বললে তারা দখল না ছেড়ে উল্টো হুমকি দেয়াসহ নানাভাবে অপদস্ত করার চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে প্রদীপ গমেজ কতিপয় সংবাদকর্মীদের দিয়ে ক্রেডিট ইউনিয়নের নামে নানা অসত্য তথ্যে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে চলেছেন। এ ঘটনায় পুরো খ্রীষ্টান সমাজে বর্তমানে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে তারা জানান।
এ ব্যাপারে জমি বিক্রেতা প্রদীপ গমেজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জমিটি বিক্রি করিনি। ক্রেডিট ইউনিয়নের কাছে ঋণের মর্টগেজ হিসাবে দিয়েছিলাম। তবে বনপাড়া খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের সভাপতি সুব্রত রোজারিও বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান সমবায় আইন অনুযায়ী চলে, এ কারণে কোন ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ নেয়ার কোন নিয়ম নেই, আমরা তা নেইও না। প্রদীপ গমেজ নিজের প্রয়োজনে জমি বিক্রি করে এখন নানা টালবাহানা করছেন।
Leave a Reply