নাটোরের বড়াইগ্রামে পরকীয়ার জের ধরে আব্দুস সামাদ (৬২) নামে এক কৃষককে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার ভোর রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত আব্দুস সামাদ উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার গুনাইহাটি গ্রামের মৃত বাছের প্রামাণিকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গুনাইহাটি গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে এহিয়া প্রতিবেশী আব্দুস সামাদের জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করতেন। এ সুযোগে এহিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে নিঃসন্তান আব্দুস সামাদের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। মাস তিনেক আগে আব্দুস সামাদকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে এহিয়ার স্ত্রী তাকে তালাক দেন। পরে সামাজিকভাবে বিষয়টির নিষ্পত্তি করে পুনরায় এহিয়ার সঙ্গে তাকে বিয়ে দেয়া হয়। পরকীয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এহিয়া আব্দুস সামাদের জমির লিজ মুল্যের ৫০ হাজার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উভয় পক্ষে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
পরে গত সোমবার সকালে আব্দুস সামাদ বাজার করার উদ্দেশ্যে বনপাড়ায় যাবার পথে এহিয়া ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার ভোর পৌনে চারটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালশিরা দাগ রয়েছে। সকালে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply