“ভাগ্য যখন সুপ্রসন্ন”
পাবনার-৪ উপনির্বাচন কেন্দ্রিক বিএনপির সিদ্ধান্ত বিরূপ মনোভাবাপন্ন থাকলেও কোন কোন নির্বাচনমুখী নেতার প্রচন্ড চাপে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে চলেছে। আবার এটাও নিশ্চিত পাবনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হবেন জনাব হাবিবুর রহমান হাবিব। এই একপেশে নির্বাচনে কেহ নির্বাচন করতে না চাইলেও তাঁকে একপ্রকার জোর করেই মনোনয়ন দেয়া হবে বলে আমি নিশ্চিত। কারন বিএনপি থেকে এটাই তার শেষ মনোনয়ন।
মনোনয়ন কেন্দ্রিক রাজনীতি করতে হলে তাকে ভবিষ্যতে অন্য কোন দল থেকে মনোনয়ন আশা করতে হবে। বর্তমানে মনোনয়নের দৌড়ে এক হাবিবুর রহমান হাবিব ব্যতীত অন্য কেউ আছে বলে আমার মনে পড়ে না। কারণ বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় বিএনপির নিশ্চিত পরাজয় জেনে কোন উম্মাদ এই নির্বাচনে এগিয়ে আসবে বলে আমার মনে হয় না।
আবার ফেসবুকে একজন কারিশমাটিক নেতার হঠাৎ দেওয়া স্ট্যাটাস আমার দৃষ্টিগোচর হয়। স্ট্যাটাসটি তেমন তথ্যবহুল না হলেও হাস্যকর বটে। সাবেক সংসদ জনাব সিরাজুল ইসলাম সরদার সাহেব নিজেই নিজের ঢোল পিটিয়েছেন। নিজের সাফাই গাইতে যেয়ে তার নিজ দলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ছাগল বলে সম্বোধন করেছেন। এটা উনার অভ্যাস বটে। দলের মধ্যে যেই প্রতিপক্ষ হয়ে উঠুক না কেন, তাকে নিয়ে উনি বিভিন্ন ধরনের তাচ্ছিল্য মনোভাব ব্যক্ত করে থাকেন। এটা তার চিরাচরিত অভ্যাস।
সে যাইহোক, উনি আমাদের ক্যারিশমাটিক নেতা ছিলেন, এ কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। কিন্তু পারিবারিক রাজনীতি করতে যেয়ে উনি রাজনৈতিক আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। আদর্শিক রাজনৈতিক নেতা না হলেও, ভবিষ্যতে হয়ত দলীয় পরিচয়েই বেঁচে থাকবেন বলে আমি আশা করি।
জনাব হাবিবুর রহমান হাবিবের ভাগ্য এখন সুপ্রসন্ন। নির্বাচনে হারজিত তার কাছে কোনদিনই কোনো বিষয় নয়। নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকলেই তো রাজনৈতিক দল উনার মত করে পরিচালনা করার চেষ্টা করতে পারবেন। হয়তো ২৬শে সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে দেখতে পাবো একই ইউনিয়নের দুই দলের দুই নেতার জনপ্রিয়তা।
লেখকঃ সনজু খান,
বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি।
Leave a Reply