রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাত্র-জনতার উপর হামলার আসামি হারুন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আতঙ্কে এলাকাবাসী জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে যবিপ্রবির ফিজিওথেরাপি বিভাগে দোয়া মাহফিল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে “কুইজ ও আলোচনা সভা” অনুষ্ঠিত  নারী শিক্ষার্থীর থেকে চাঁদা দাবি; কথিত সাংবাদিককে শিক্ষার্থীদের গণধোলাই নোবিপ্রবিতে একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১০১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী যবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিজিওথেরাপি কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন   নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের বাসে সন্ত্রাসী হামলা নোবিপ্রবিতে সিজিপিএ ভিত্তিতে ছাত্র পরিষদে মনোনয়ন : শিক্ষার্থীদের তীব্র ক্ষোভ নোবিপ্রবিতে জাতীয় হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব ১৮ জুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বরখাস্ত নোবিপ্রবি শিক্ষক : ছাত্রীরও শাস্তির দাবি শিক্ষার্থীদের  নোবিপ্রবিতে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন নিয়ম না মানলেও প্রমোশন: নোবিপ্রবির প্রভাষক বিতর্কে প্রশাসন নোবিপ্রবির ১৩ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট লোকদের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি নোবিপ্রবিতে স্বপ্ন দেখিয়ে অচলাবস্থা, নীরব দর্শক বিএমবি চেয়ারম্যান নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য! পেশাজীবি লীগ নামে নোবিপ্রবিতে আওয়ামী লীগের গোপন তৎপরতা দাবি না মানলে রংপুর অচল করে দেয়ার হুমকি পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঝিনাইগাতী’র নেতৃত্বে হুরায়রা ও শাহীন চকরিয়ার হারবাংয়ে বনের হরিণ শিকার করে জবাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে: নোবিপ্রবি উপাচার্য পুসাজের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত চকরিয়ায় পুলিশের উপর হামলাসহ একাধিক ডাকাতি; গ্রেপ্তার ৩ আটঘরিয়ায় কোর্টের রায় অমান্য করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা দুই ছাত্রদল নেতার জন্য নিয়মবহির্ভূতভাবে মাস্টার্স চালু করলো নোবিপ্রবি কৃষি বিভাগ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভলিবল খেলা নিয়ে মারামারি : দুদিন বন্ধ একাডেমিক কার্যক্রম  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহার নিয়ে ঢাবিতে আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম

ভারতে হাতি হত্যা, পশুপ্রেম আর আমেরিকার বর্ণবাদ!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০
  • ৯৬৯ ০০০ বার

বর্তমান সময়ে সোস্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে ভাইরাল বিষয় হলো কেরালার হাতি মেরে ফেলা আর আমেরিকায় রেসিজম নিয়ে বা বৈষম্য নিয়ে। আমিও একটু মেতে আছি। কিন্তু একটু ভিন্নভাবে। কিভাবে সেটা? আসুন আমরা সেটাই বোঝার চেষ্টা করি।

প্রথমে আসি রেসিজম বা বৈষম্য নিয়ে। কিছুদিন আগে আমেরিকান পুলিশ অফিসার কর্তৃক একজন ব্লাকিশ লোক নিহত হন। তাই নিয়ে উত্তাল সারাবিশ্ব। সবাই আমরা সাম্যতা চাই। চাই থাকবে না কোনো বৈষম্য। সবাই একটা সুন্দর পৃথিবী চাই। যেখানে সাদা কালো, হিন্দু মুসলিম সবাই একসাথে থাকবো। কিন্তু সেটা কি আদৌ সম্ভব? এটা সম্ভব না। কারণ আমরা কেউ ই সাম্যতা মানি না। আমরাই সর্বপ্রথম বৈষম্য টেনে আনি। আমরাই সবচেয়ে বেশি রেসিজম করি।

সেটা কিভাবে? অনেকেরই একটা প্রশ্ন থাকবে। আর প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। আমি আমাদের ইয়াং জেনারেশনের একটা উদাহরণ টেনেই বলি। একটা ছেলে কখনোই একটা কালো বা শ্যামলা চেহারার মেয়েকে পছন্দ করবে না। কারণ সে ফর্সা মেয়ে চায়। এটা কি বর্ণবাদ না? আপনি কেনো ওই মেয়েকে পছন্দ করবেন না। সে কালো বলে? তাহলে কেন আপনি এখন রেসিজম নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে? ঠিক তেমনি একটা মেয়েও একটা কালো বেটে মোটা ছেলে পছন্দ করবে না। এখানেও চলে আসে বর্ণ বৈষম্য। আবার সেই মেয়েরাই রেসিজম নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কি অধিকার আছে আপনার। শুধু যে সাদা কালো নিয়ে বিভেদ তা নয়। উচু নিচু, হিন্দু মুসলমান নিয়েও চলে। আসেন সেটাও একটু আলোচনা করি এবং প্রমাণ সহ।

আমরা আদিবাসীদের ছোট করি। উপজাতি বলে। আমাদের দেশে হিন্দুরাও শিকার হন। তাদের আপনি চাড়াল বলবেন, মালায়ন বলবেন। আরো কতো কি বলবেন। এটা কি বৈষম্য করছেন না। ভাই চাড়াল মানে কি? চাড়াল কাদের বলা হয় জানেন? যারা নিচু কাজ করে তাদের বলা হয়। ওদের চাড়াল বলে তো আপনিই চাড়াল হয়ে যাচ্ছেন। তাহলে কেন ওদের চাড়াল বলবেন? কে দিয়েছে এই অধিকার? নাকি ওরা সংখ্যায় কম বলে যা ইচ্ছে তাই বলবেন? মারবেন, কাটবেন যা ইচ্ছে তাই করবেন?

ঠিক তেমনি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও একই অবস্থা। ভারতে মুসলমানদের যা ইচ্ছে তাই করে। মারে কাটে। মায়ানমারেও একই। রোহিঙ্গা মুসলমানদের দেশান্তরী করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাহলে কি দাড়ালো? বৈষম্য কোথায় হচ্ছে? আজ আমেরিকায় একজন হত্যা হয়েছে সবাই প্রতিবাদ করছেন। কোথায় মধ্যপ্রাচ্যে ওই আমেরিকা কর্তৃক হাজার হাজার মানুষ হত্যা হচ্ছে। তখন তো কেউ আওয়াজ তোলেন না। সারাবিশ্বে প্রতিদিন বর্ণ বৈষম্য হচ্ছে। তখন কেনো আওয়াজ তোলেন না? আজ কেনো তুলছেন? স্রোতের দিকে যাওয়া বন্ধ করেন। আগে আপনি নিজেকে ঠিক করেন। নিজে ঠিক হন। আপনার মধ্যে সবচেয়ে বড় বৈষম্য কাজ করে।

এবার আসি ভারতের কেরালা রাজ্যে হাতি হত্যা নিয়ে। আজ ফেসবুক জনতা ব্যস্ত পশু প্রেম নিয়ে। কেনো হাতিকে মারা হলো। এবং বিভিন্ন ধরনের ইমোশনাল কথা বানিয়ে সেটা প্রচার করা। সত্যি সেটা প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু সবসময় কি এই পশু প্রেম কি থাকবে সবসময়? পাশের বিড়ালকে বা কুকুরকে বা অন্য প্রাণীকে কিছু বলবেন না তো? আমি জানি আপনারা বলবেন না। সব ধরনের পশুকে আপনারা ভালবাসবেন। কোনো পশুকে আপনারা মারবেন না বা হত্যা করবেন না।

কিন্তু আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনারা পারবেন না। কারণ পাশ দিয়ে হেটে চলা শুয়োরটাকে সবার আগেই পিটাবেন। আচ্ছা সেটা কি পশু না? কুকুর দেখলেই পিটান, বিড়াল দেখলে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেন। তখন কোথায় থাকে পশু প্রেম? নাকি হাতি বড় তাই ভালবাসা বেশি আর ওরা ছোট তাই ওদের প্রতি ভালবাসা থাকবে না।

বন্ধ করেন ভাওতাবাজি। পশু মারতে আমরা ওস্তাদ। বনে গিয়ে পশু মারতে আমরা অভ্যস্ত। তাদের অভয়ারণ্য ধ্বংস করতে আমরা পটু। আমরা মোটেও তাদের ভালবাসি না। এটা লোক দেখানো ভালবাসা। বাস্তবে পশু প্রেম করেন।

আজ আর মাথায় আসছে না। তাই আর বলতে পারছি না। মানুষ মারা গেলে আমরা হিসাব রাখি কিন্তু পশু মরলে হিসেব রাখি না। আফসোস! ওইসব সোস্যাল পিপলদের জন্য। সবাই গায়ে নেবেন না।

 

লেখকঃঃ সজল আহমেদ,শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ। 

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..