শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ১০:১৬ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
নিখোঁজ মেয়ের খোঁজে পথে পথে বাবা সবুজ গ্রামবাংলা: নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও জীবন্ত চিত্র মানবিক চেতনাবোধ: জীবের প্রতি প্রেম যবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপক ড. ফিরোজ কবির সাময়িক বরখাস্ত, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ প্রথম আলোতে ভুল সংবাদ প্রকাশে রবিসাসের তীব্র নিন্দা আশ্বাসের ফাঁদে আটকে নোবিপ্রবির একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন মডেল হতে পারে বরিশাল : শারমিন বিনতে সিদ্দিক মেধা ও মননের বিকাশে নেভি এ্যাংকরেজ স্কুলের বার্ষিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন জমি বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা, পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান বর্ষা বন্দনা: প্রকৃতি এবং জনজীবন কয়রার মহারাজপুরে ভিডব্লিউবি সঞ্চয় নিয়ে গুজব, চক্রান্তের মুখে চেয়ারম্যান মাহমুদ নোবিপ্রবিতে শিক্ষক বাদশা মিয়ার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মশাল মিছিল সাহসী সাংবাদিকতার জন্য পুরস্কৃত হলেন গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি লিটু দুর্নীতি-অনিয়ম ঠেকিয়ে স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন ইউএনও রুলি বিশ্বাস নোবিপ্রবিতে শিক্ষক নিয়োগ বিতর্কে নেপথ্যে যা জানা গেল হামলার শিকার নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন সভায় হামলা, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর ছাত্র-জনতার উপর হামলার আসামি হারুন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আতঙ্কে এলাকাবাসী জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে যবিপ্রবির ফিজিওথেরাপি বিভাগে দোয়া মাহফিল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে “কুইজ ও আলোচনা সভা” অনুষ্ঠিত  নারী শিক্ষার্থীর থেকে চাঁদা দাবি; কথিত সাংবাদিককে শিক্ষার্থীদের গণধোলাই নোবিপ্রবিতে একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১০১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী যবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিজিওথেরাপি কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন   নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের বাসে সন্ত্রাসী হামলা

ভালোবাসার আরেক নাম “মা”

তানজিলা আক্তার লিজা, ডিআইইউ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ মে, ২০২১
  • ১২১৬ ০০০ বার

নাম আমার মিতু। পেশায় একজন ডাক্তার। রোগীর রোগ নির্ধারণ করে তাকে সেবা প্রদান করা আমার কর্তব্য। যখন এই পেশায় নিয়োজিত হয়েছি ঠিক তখনি শপথ নিয়েছি এই সেবা প্রদান যুদ্ধে সবসময় জয়ী হবো যত বাধাই আসুক না কেনো।

মানবসেবা এই ডাক্তার পেশায় আসার পর আমার এক ছোট মেয়ে আছে তাসফিয়া তাকে সময় দেওয়া আমার আর হয়ে উঠে না। অন্যান্য মায়েদের মতো সবসময় তাকে নিয়ে তার বিদ্যালয়ে যাওয়া হয় না। তার গানের ক্লাসেও না। তাকে নিয়ে বাগানে লুকোচুরি খেলাও হয় না।

তাসফিয়া : মামনি, তুমি বড্ড পচাঁ। আমাকে ভালোই বাসো না। তোমার সাথে আড়ি। আমি চলে যাবো নানু বাড়ি।

ওর নানু বাড়ি বলতে শুনা মাত্রই মনে পরে গেলো আমার শৈশবের কথা। আমার “মা” ছিলেন একজন নার্স।
রোগীদের ঔষধ খাওয়া থেকে শুরু করে তাদের শীঘ্রই সেরে উঠার পিছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এই পেশায়(নার্স) যারা জড়িত তাদের।।
তাসফিয়া এখন আমাকে নিয়ে যা অভিযোগ করে। আমি তো এর থেকেও বেশি অভিযোগ তুলে ধরতাম শৈশবে আমার মার কাছে।

মিতু: মা তুমি কি আমার মা নও। ভালো কি বাসো না। কেনো তুমি আমার সাথে খেলো না। কেনো আমাকে খাইয়ে দেও না। তুমি সবসময় চলে যাও তোমার হাসপাতালে। এই রকম নানান অভিযোগ ফোনে কল করে বলতাম।

আর আমার “মা” শুনতো আর হাসতো।
আর বলতো,
মা: মেয়ে আমার শুনো তুমি তো এখনো ছোট। যখন বড় হবে আমার স্বপ্ন পূরণ করে ডাক্তার হবে। তখন তুমি এই সকল প্রশ্নের উত্তর পাবে।

আমি যখন নবম শ্রেনীতে পড়ি। আমার এক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানে আমি নাচে অংশগ্রহণ করেছিলাম।ছোট থেকেই যদি কোনো প্রোগ্রাম হতো বাবাই নিয়ে দিয়ে আসতো। সেদিন ও বাবাই নিয়ে দিয়ে আসছিল। আমি প্রোগাম শেষে বাড়ি ফিরছি হাতে এক গিফ্ট ছিলো কারন আমি নাচে দ্বিতীয় হয়েছিলাম।

আমাদের বাড়ির পথে রাস্তা পার হবার সময় এক গাড়ি আমাকে অনেক জোড়ে ধাক্কা দেওয়াই ছিটকে পরে যায়। তখন আর আমার কিছু মনে নেই কি হয়েছিল আমার। শুধু এইটুকু মনে ছিলো শেষ মূহুর্তে আমি একটা কথা বলছিলাম “মা”।

যখন জ্ঞান আসে ফিরে দেখি আমার পাশের সিটে আমার মা আর আমি তার পাশের সিটে দুজনেরই এক চোখে বেন্ডেজ।
ডাক্তার এসে বললো, ” মামনি তোমার চোখের বেন্ডেজ এখন আমরা খুলে দিবো দেখোতো তুমি সব কি দেখছো দুচোখে “?

হ্যাঁ, আমি সব দেখছি।
আর আমার মার ব্যান্ডেজ খুলা মাত্রই আমার বুজতে বাকি রইলো না আমার মা আমাকে তার চোখ দিয়ে আবার নতুন ভাবে পৃথিবী দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।

সেদিনের পর থেকে মা আর তার পেশায় যায় নি। আমাকে সময় দিয়েছে। আমার পরে আর তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিলো না।
এখন নিজের মেয়ে যখন অভিযোগ তুলে তখন আমিও আমার মায়ের মতো হেসে বলি।
মামনি, সকল প্রশ্নের উত্তর পাবে বড় হলে।

মা, হক গৃহিণী, ডাক্তার, পাইলট, সাংবাদিক, উকিল যাই হক না কেনো সব মায়ের ভালোবাসা এক। শুধু সময় পার্থক্য, ভালোবাসার নয়। মা হচ্ছেন একজন নারী, যিনি গর্ভধারণ, সন্তানের জন্ম তথা সন্তানকে বড় করে তোলেন – তিনিই অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম ও মা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত।
মা ছাড়া আমাদের জীবনটাও এক মুহুর্ত কল্পনা করা যায় না।

লেখকঃ তানজিলা আক্তার লিজা,
শিক্ষার্থী,ফার্মেসি বিভাগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। 

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..