সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকার পরিপ্রেক্ষিতে এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক সমাজ দেশবাসীকে স্বত্বঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহবান জানিয়ে তারা বলেন, মাত্র কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ নামক ভূ-খণ্ডটি তার বিজয়ের ৫৩-তম দিবস উদযাপন করেছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রের মুখেও দেশটি সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে প্রভুত উন্নতি সাধন করেছে।
খোলাচিঠিতে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ও পরিস্থিতি তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক সমাজ বলছেন, বিশেষ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত দিন মেয়াদে দেশবাসীর অকুন্ঠ সমর্থন নিয়ে দেশটিকে সুন্দরভাবে পরিচালিত করেছে। যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার বিভিন্ন ইনডেক্স রিপোর্টে বহুল প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া বিগত বছরগুলোতেও পরিকল্পনামাফিক বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হয়েছে। আর এর সুবিধা দেশবাসী ইতোমধ্যে পাওয়া শুরু করেছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মুখেও শিক্ষা স্বাস্থ্য প্রকৌশল, ব্যবসা, বাণিজো ও পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। এছাড়ও করোনা মহামারিকে বর্তমান সরকার অত্যন্ত সফলতার সাথে মোকাবিলা করেছে, যা বিশ্বের প্রতিটি দেশে প্রশংসিত হয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগামী ৭ জানুয়ারি জনগণ একটি উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জাতীয় সংসদে তাদের প্রতিনিধি প্রেরণ করবেন, যা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অন্যতম একটি অংশ। একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবেই এই বিশাল কর্মযজ্ঞটি সম্পাদন করার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন। প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণ প্রতিনিয়ত কমিশন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থা অবলোকন করছেন, যা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিচায়ক।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক সমাজের পক্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রেজোয়ান আহমেদ শুভ্র এই খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন। এর অনুলিপি গণমাধ্যমেও পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক সমাজের খোলা চিঠিতে আরো বলেন, বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান অনেক সংবেদনশীল। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা তথা বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার যে স্বপ্ন এদেশের জনগণ দেখেছে, তা বাস্তবায়ন করতে একটি নির্বাচিত সরকার ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পরিবেশ প্রয়োজন। বিগত সময়ে যা বংলাদেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিক উপলব্ধি করেছেন।
চিঠিতে আরো বলা হয়, বর্তমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোর ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহার করে নির্বাচন কমিশনের আহ্বানে নির্বাচনমুখী হওয়া বাঞ্চনীয় ছিল। তা না করে কিছু রাজনৈতিক দল অগ্নিসংযোগ ও হত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তারা নির্বাচন কমিশনকে অসহযোগিতা তথা সর্বোপরি জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে, যা সাধারণ জনগণের কাছে নিন্দনীয়। তাদের এ বিধ্বংসী রাজনীতি সাধারণ জনগণকে হতাশ ও ক্ষুদ্ধ করেছেন। তাই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকার প্রেক্ষিতে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক সমাজ দেশবাসীকে সত্বঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সতের কোটি জনগণের ভাগ্য বিনির্মাণে সচেতন প্রতিটি নাগরিক আসন্ন ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দেশ বিদেশে বাংলাদেশকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে তার সমুচিত জবাব দিবে বলে তারা প্রত্যাশা করেন।
Leave a Reply