নানা কর্মসূচী এবং আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে যবিপ্রবিতে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।
সকালে সূর্যোদয়ের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, যশোর মনিহারে অবস্থিত বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, যশোরের বকুলতলায় বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং যবিপ্রবির ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বত্তোম ব্যবহার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথার স্মৃতিচারণ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে যবিপ্রবি প্রশাসন। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনিসুর রহমান, যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবিব, ডিনস কমিটির আহবায়ক এর পক্ষে অধ্যাপক ড. মুনিবুর রহমান সহ যশোরের দুই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা হলেন অধ্যাপক ড. কামরুল হুদা, নৌ কমান্ডো ১০ নং সেক্টর, অশোক কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, যশোর। আমন্ত্রিত বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ তাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন স্মৃতিচারণ করেন এবং নানা ঘটনা সকলের সামনে তুলে ধরেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবি উপাচার্য বলেন আমরা ১৯৭১ সালে দেশকে স্বাধীন করেছিলাম, এখনো কিছু হায়না দেশকে আবারও পাকিস্তানের পেছনের দশকে ফেরত নিয়ে যেতে চায়। তিনি সকলকে এই সকল হায়েনাকে প্রতিরোধ এর আহবান জানান। সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে তার পাশে থাকার ওয়াদা করান। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. আলম হোসেন এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ দপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. তানভীর আহমদ। বাদ জোহর যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যবিপ্রবি ছাত্র এবং ছাত্রীদের আবাসিক হলে উন্নত খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।
Leave a Reply