যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগের সভাপতির সামনে লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় চলাচল ও সালাম না দেয়ায় তাকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। নির্যাতনের পর ওই শিক্ষার্থী যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ মসীয়ূর রহমান (শ.ম.র.) হলের ৩০৮ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
কোতয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী থানায় সাধারণ ডায়েরি ও হলের প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। নির্যাতনের শিকার মো. মাঞ্জুরুল হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
এদিকে ছাত্রলীগের কর্মীদের অভিযোগ, সভাপতি সোহেল রানার রুমের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় লুঙ্গি উঁচু করে যাচ্ছিল সেই শিক্ষার্থী। তাকে বুঝিয়ে এ কাজ না করার জন্য বলা হলে এক পর্যায়ে তর্কের সৃষ্টি হয়৷ তাকে বেধড়ক মারধর এর ঘটনাও অস্বীকার করেন তারা।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ছাত্রাবাসে কোনো শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়নি। রাতে কিছু ছেলে আমার রুমের সামনে জুনিয়রদের সঙ্গে তর্ক করলে তাদের বুঝিয়ে যার যার কক্ষে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কাউকে মারধর করা হয়নি। আর যারা বিশৃঙ্খলা করছিল তারা ছাত্রলীগের কোনো পদধারী নেতা নয়। ক্যাম্পাস রাজনীতির গ্রুপিংয়ের বলি হয়ে আমাকে দোষারাপ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. তানভীর ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনে আমি এবং আমার সহকারী প্রভোস্ট নিয়ে হলে আসি এবং সব পক্ষের সাথে বসে আলোচনা করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। তিনি আরও বলেন এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি করে হলে যারা বহিস্কৃত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply