ব্যক্তিগত বিবাদের জের ধরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্রী হলের গার্ডকে কর্তব্যরত অবস্থায় মেরে রক্তাক্ত করেছে স্থানীয় এক যুবক। এ ঘটনায় উক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫শে মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কর্তব্যরত গার্ড লিটনকে মারধর করে উক্ত যুবক। এসময় হলে থাকা শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবগত করলে যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেয় প্রশাসন। এছাড়াও গার্ড লিটনকে পোতাজিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রীরা জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এক ব্যক্তি দায়িত্বরতগার্ড লিটন মামাকে ইঙ্গিত করে বলেন গেট থেকে বের হ। তোর সাথে কথা আছে। এখানে ঝামেলা না করে ব্যক্তিগত বিষয়ে তাকে গার্ডের সাথে পরে কথা বলার জন্য আমরা সবাই বারান্দা থেকে বললেও সেই যুবক আমাদের কথা না শুনে গেটের ভেতর থেকে লিটন মামাকে টেনে বাইরে নিয়ে যায় এবং মারধর করে রক্তাক্ত করে।
আহত নিরাপত্তাকর্মী লিটনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে হাঁস পালন সক্রান্ত বিষয়ে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেওয়া হয় শরিফুলের কাছ থেকে। চুক্তি অনুযায়ী হাসের অর্ধেক খরচ উভয়পক্ষ বহন করার কথা থাকলেও অর্ধেক হাঁস মারা গেলে মৃত হাঁসবাবদ সকল টাকা শরিফুল দাবি করলে তাকে ৪ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। বাকি ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা এপ্রিলের ১ তারিখে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু নির্ধারিত তারিখের পূর্বেই আমার কর্মস্থল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীহলের ভেতরে এসে আক্রমণ করে শরিফুল।
ঘটনা পরিদর্শনে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো: ফখরুল ইসলাম। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের তিনি জানান, “আহত গার্ডকে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং সে যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উক্ত কর্মচারীর সাথে যুবকের ব্যক্তিগত ঝামেলা ছিল। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কোন সম্পর্ক নেই।”
এ ঘটনায় হামলাকারী শরিফুল নামক ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে শাহজাদপুর মডেল থানা।
Leave a Reply