২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের অংশগ্রহণে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ বিকাল ৩টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।
সভাপতির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য বলেন, আমরা মনে করি দেশপ্রেম ছাড়া সুশিক্ষিত নাগরিক হওয়া সম্ভবপর নয়। তাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি বাঙালি সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুসঙ্গ শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করতে চায়, যা শিক্ষার সাথে সাথে বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুজিবাদর্শের বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্যসমমূহ অনুসরনে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষাক্রম প্রস্তুত ও বিন্যস্ত করতে চাই। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির মৌল উদ্দেশ্য বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মকে চিরঅম্লান করার লক্ষ্যে গবেষণা ও পঠন-পাঠনের মাধ্যমে পরিবর্তমান বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলার সামর্থ্য অর্জন করা।
উপাচার্য মহোদয় বলেন, আমাদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগনেরঅংশগ্রহণে একটি সুসমন্বিত তথা ইন্টিগ্রেটেড পরিবেশ তৈরি করেছি যা সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশে চলমান থাকবার সামর্থ্যের নির্দেশক। বর্তমানে আমাদের নানামূখী সংকট ও প্রতিবন্ধকতা থাকলেও আন্তরিকতা ও সাংস্কৃতিক মমত্ববোধ দিয়ে আমরা এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সদা সচেষ্ট। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসর হয়েছে যার অনেকটাই দৃশ্যমান।
প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, আমরা সনাতন ধারায় আমাদের শিক্ষাকে বিস্তার করতে আগ্রহী নই, আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, গবেষণা ও সৃজনশীলতা চর্চার পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই। শিক্ষার্থীরা যেন আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে তাদের সম্পর্কটা রাখতে পারে সেজন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার সংস্কৃতি চালু করেছি। আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও গত বছর আমরা একটি অ্যাকাডেমিক কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। এবছর আমরা দুইদিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ক্লাসিকাল মিউজিক-এর সফল আয়োজন সম্পন্ন করেছি, এর মাধ্যমে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বর্তমানে যে জ্ঞান-চর্চা হচ্ছে সেই জ্ঞানের বিনিময় হবে এবং এই বিনিময় আমাদেরকে সমৃদ্ধ করবে; আমাদেরকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার সামর্থ্য অর্জন করতে সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন নয়, দেশের যে কোনো সংকটে ও দুর্যোগে অবদান রাখা। সভা শেষে উপাচার্য মহোদয় সকল অংশীজন ও শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিকবৃন্দ এই সভায় অংশীজন হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য বেলা ৩টায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের সভা সেবা এবং ৪টায় অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ে অংশীজনের অংশগ্রহণে অবহিতকরণ বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply