পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া থেকে পানপট্টির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে চালকসহ ১৩ যাত্রী জীবিত উদ্ধার হলেও পাঁচজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার আগুনমুখা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
স্পিড বোট দুর্ঘটনায় নিখোঁজরা হলেন- রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মহিব্বুল্লাহ (৪৫), কৃষি ব্যাংক রাঙ্গাবালীর বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫), একটি এনজিওর রাঙ্গাবালীর খালগোড়া শাখার ঋণ অফিসার হুমায়ুন কবির (৩০), শ্রমিক হাসান (৩৫) ও ইমরান (৩৪)।
জানা গেছে, আনুমানিক বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে ১৭ জন যাত্রীসহ আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন একটি স্পিডবোট গলাচিপা উপজেলার পানপট্টির উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে আগুনমুখা নদীর মাঝখানে ঢেউয়ের তোড়ে স্পিড বোটের তলা ফেটে ১৭ জন যাত্রী এবং একজন চালকসহ স্পিডবোটটি তলিয়ে যায়।
দেড় ঘণ্টা পর দুইটি স্পিড বোট উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চালকসহ ১৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পাঁচজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান স্পিডবোট কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার অভিযানে রয়েছে রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ সহ রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
দূর্ঘটনার কবলে পরা স্পিডবোটটি এক ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও গন্তব্যে পৌঁছায়নি।পরে স্পিডবোট কর্তৃপক্ষ দেড় ঘণ্টা পর উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানান, “প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে স্পিডবোটের সামনের অংশের তলা ফেটে যায়। তারপর এই দূর্ঘটনার কবলে পরি।”
উদ্ধার হওয়া একাধিক যাত্রী জানান, “আমরা বারবার চালককে স্পিডবোট ঘুরিয়ে ঘাটে নিয়ে আসতে বলেছি। কিন্তু সে আমাদের কথা শোনেনি।”
রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ সহ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উদ্ধার অভিযানে আছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, “১৭ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট ছাড়ার কথা নয়। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে স্পিডবোট ছাড়াও ঠিক হয়নি।”
Leave a Reply