রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজে ভূমিদস্যুর দখলে সুলিজ সংলগ্ন খাস খাল।এর ফলে ভোগান্তিতে পরেছে স্থানীয় কৃষকেরা।
পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে সুলিজ সংলগ্ন একটি খাস খাল রয়েছে। উক্ত খালটি চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড এর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি বশির খান গত ১০ বৎসর যাবৎ অবৈধ ভাবে দখল করে আসছে। উক্ত খালটির স্মারক নং ৫১।তার দখলে থাকাকালীন তিনি স্থানীয় জনগণকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন নিপিড়ন করতো। এমনকি খালটির দুই তীরে যারা বসবাস করে তাদের ঘুম থেকে উঠিয়ে খাল পাড়ে নিয়ে নির্যাতন করে।তার পিতার মাত্র ২০ শতাংশ জমি ছিল।বর্তমানে বশির খান কোটি কোটি টাকার মালিক। অভিযুক্ত বশির খান এর এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে, যাদের কাজ হচ্ছে ভূমি দখল,ঘাট দখল,বন দখল, নদী দখল,খাল দখল। চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির মালিক অবৈধ স্থাপনা বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন। এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় নাই। খালের দুই পাশের রেকর্ডীয় সম্পত্তির মালিক কৃষি জমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু বশির খান তার ভাই মোশাররফ খান, কুদ্দুস খান, নাসির খান ও তাদের সাথে প্রভাবশালী কিছু ব্যাক্তিদের নিয়ে প্রায় ৫০০ একর খালে এককভাবে মাছের ঘের করে ভোগ দখল করে এবং বর্ষার মৌসুমে উক্ত খালে পানি জমা করে জনগণের প্রায় ৭০০-৯০০ একর জমির ফসল নষ্ট করে দেয় এবং শীতের মৌসুমে লোনা পানি দিয়ে কৃষকদের রবি শষ্য নষ্ট করে দেয়। খালের পাড়ে কিছু গরীব মানুষ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু খালটির দখলকারীদের জুলুম অত্যাচারের কারণে কোন গরীব মানুষ মাছ ধরতে পারে না। অনেক মানুষ কে তারা পথে ঘাটে মান সম্মান নষ্ট করে এবং বর্ষার মৌসুমে জনগণ খালের পানি কমাইতে বলিলে তারা কর্নপাত করেনি তারপর জনগণ উক্ত জুলুমবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে খালটি মুক্ত করার জন্য সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মহিব্বুর রহমান মহিব এর নিকট দরখাস্ত করেন। তারপর এম পি মহিব ২০১৯ সালের ১৮ ই এপ্রিল চরমোন্তাজ ইউনিয়ন এর বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সুস্পষ্ট ভাষায় জনগণের সম্মুখে অবৈধ খাল জনগণের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করছেন। তারপর ৫ নং ওয়ার্ড এর জনগণ এম পি মহিবের নির্দেশক্রমে উক্ত খালের বাধ কাটিয়া উন্মুক্ত করে দেয়। তারপর খালটির দখলকারী বশির খান স্থানীয় জনগণের নামে পটুয়াখালী আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আইনে ৪/৫ ধারায় ২৫/০৪/২০১৯ তারিখ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৫৫/১৯।উক্ত মামলায় ১৯ জন আসামি ৪২ দিন যাবৎ জেল হাজতে কারাবন্দী থেকে জামিনে মুক্ত হয়।
উক্ত খালটি ১ বছর যাবৎ উন্মুক্ত ছিল। কিন্তু কিছু দিন পূর্বে বশির খান আবার খালটি দখল করে জনগণকে হয়রানি শুরু করছে।
এসকল বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মিয়া বলেন “অভিযুক্ত বশির খান একজন ভূমিদস্যু। তিনি অবৈধ ভাবে অনেক কিছু দখল করে আসছে। তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে, এমনকি তারা আমার উপরে ও অনেক সময় হামলা করেছে। আমি চাই উক্ত খাস খালটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকুক। আমরা জনগণের পক্ষে কাজ করি, কোন সন্ত্রাসীর পক্ষে নয়।”
Leave a Reply