রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে লিফট কিনতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের তুরস্ক যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন চৌধুরী প্রেরিত বার্তা থেকে বিষয়টি জানা যায়।
এদিকে লিফট কিনতে পাবিপ্রবির ৬ কর্মকর্তার বিদেশ যাওয়ার খবর জানাজানি হলে সারাদেশে ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সদস্যরাও এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠনের পক্ষ থেকেও মৌখিক নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।
রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু বলেন, তুরস্কের যে লিফট পাবিপ্রবিতে সংযোজনের কথা রয়েছে সেই হিটকক্স গ্লোবাল ইঞ্জিনিয়ারিং নামক প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১৫০টি লিফট সরবরাহ করেছে। সুতরাং লিফট দেখতে তুরস্কে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। লিফট এখন জাহাজীকরণ প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সেখানে মতামত প্রদানেরও সুযোগ নেই। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞও নন। এ সফরকে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় এবং অপ্রয়োজনীয় প্রমোদ ভ্রমণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী শরীয়তউল্লাহ জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনোই শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে সরাসরি এতো বড় অংকের অর্থ সহায়তা করেনি। আমাদের বাস সংকট, বাস চালানোর জন্য তেলের পর্যাপ্ত টাকাও নাকি ফান্ডে নেই। এইসব সমস্যা সমাধানে কোনো মাথাব্যাথা নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। অথচ লিফট কেনার নামে এইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকদের বিদেশ ভ্রমন টাকার অপচয় বটে।
জানা যায়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন, ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলসহ মোট পাঁচটি আধুনিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। নির্মাণাধীন এসব ভবনের জন্য কেনা হবে ২৫ লিফট। আর সেই লিফট কেনাকাটা ও তদারকির নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল তুরস্ক সফর করার কথা ছিলো আগামী ৬ জুন।
ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান। প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা হলেন- কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. কে. এম. সালাহ্ উদ্দীন, প্রকল্প পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল জি এম আজিজুর রহমান, প্রকৌশলী ফরীদ আহম্মেদ, রিপন আলী, জহির মুহা. জিয়াউল আবেদীন।
Leave a Reply