প্রকৃতির নির্মতায় বৃষ্টি যেন চির বিদায় নিয়ে চলে গেছে । গত কয়েক মাস থেকে লালমনিরহাট উত্তর অঞ্চলে বৃষ্টি নেই বললেই চলে।
ভরা বর্ষার মৌসুমেও লালমনিরহাটে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা নেই। প্রকৃতির এ খাম-খেয়ালিতে চির-চেনা বর্ষা মৌসুম যেন এখন শুধুই কাগজ-কলমে।
ফলে পানির অভাবে এ জেলার কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না। ডোবা-নালায় বিন্দু পরিমান পানি না থাকায় পাট জাগ দিতেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এখানকার কৃষকেরা । ফলে বর্ষা মৌসুমেও জমিতে সেচ দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ না হওয়ার উদ্বিগ্ন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও।
লালমনিরহাট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত বছর বর্ষা মৌসুমে এ জেলায় ৮৭হাজার ২শত হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয়েছিল ৮৫হাজার ৫শত ৭৫হেক্টর। বৃষ্টির পানির অভাবে ১হাজার ৬শত ২৫হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করতে পারেননি কৃষকরা।
এ বছর এ জেলায় ৮৫হাজার ৫শত ১৫হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৫১হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। বৃষ্টির পানির অভাবে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে সেচের মাধ্যমে ৩৪হাজার ১৫হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করার চেষ্টা করছেন কৃষকরা।
আষাঢ় মাস শেষ হয়ে শ্রাবণও অর্ধেক চলে গেছে। এখন যদি প্রাকৃতিক নিয়মে বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে এবারও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হবে না।তিনি আরও সাংবাদিকদের বলেন, এ বছর ৪হাজার ৭৫হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা পানির অভাবের কারণে পাট পচাতে পারছে না।
লালমনিরহাট জেলা সদরের তরুণ কৃষক তোফাজ্জল হক সুমন বলেন গত মৌসুমের তুলনায় বৃষ্টি না থাকায় প্রায় ২ লক্ষ্য টাকার ক্ষতি সম্ভবনা দেখা দিতে পারে –প্রকৃতির নির্মতার দেখে কিছু কৃষক দিন রাত বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন ভর আকাশের মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকে -যারা জমিতে ফসল উৎপাদন করেছে রৌদ্রেয় প্রখরতায় লাল হয়ে গেছে -সব কিছু যেন বৃষ্টির জন্য হাহাকার
Leave a Reply