কোয়ারেন্টাইনের সময় টা যখন সকলের কাছে বোরিং মনে হচ্ছে, তখন সময় কাটানোর জন্য হলেও শরীরিক পরিচর্যার বিকল্প নেই।
সময় যখন পাওয়া গেছে, “সবার যত্নের সাথে যত্ন হোক নিজের ও”। তাই জেনে নিন আপনি নিজের সুস্থ শরীর ও প্রফুল্ল মনের জন্য প্রতিদিন কি কি করতে পারেন।
১. খাদ্যাভ্যাসঃ শারীরিক, তথা মানসিক সুস্থ্যতার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রুটিন-মাফিক, পরিমিত খাদ্যাভ্যাস।
খাদ্যাভ্যাস শরীরের নানা জটিল সমস্যা এড়ানোর ক্ষেত্রে প্রবল ভূমিকা পালন করে।।
এটা যতটা কঠিন মনে হয়, আসলে নিয়মিত মেনে চললে তেমন জটিল মনে হবে না।
পুরো ব্যাপার টায় অভ্যাস এর ওপর নির্ভরশীল।
কি খাচ্ছেন, সেটির সাথে সমান গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঠিক সময়ে খাচ্ছেন কি না। পুষ্টিকর খাবারের সাথে সময় টা মেইনটেইন করলে নিজের যত্নটা অনেক টাই নিশ্চিত করা যায়।
২.বিশ্রামঃ শারীরীক ও মানষিক সুস্থ্যতার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম আবশ্যক।। সারা দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পরে, প্রায় আমাদের সকলেরই অভ্যাস অনেক রাত জেগে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এর মতো সোস্যাল নেটওয়ার্ক এ সময় অতিবাহিত করা, কিংবা মুভি দেখা, গান শুনে প্রায় রাতের অর্ধেক টায় কাটিয়ে দিই। এতে আমাদের শরীর ও মনের প্রতি খুবই খারাপ প্রভাব পরে।।এক্ষেত্রে রুটিন-মাফিক বেশি রাত না জেগে তাড়াতাড়ি বিছানায় চলে গিয়ে এবং খুব ভোরে দিন শুরু করলে শরীর ও মন দুটোই চাঙা রাখা সম্ভব। সকাল সকাল দিন শুরু করলে সারাদিনে কাজ শেষ করার সময়ও বেশি পাওয়া যায়।
৩. ব্যায়ামঃ শরীরের ইমিওনিটি সিস্টেম কে ধরে রাখতে শরীরীক ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ১ ঘন্টা এক্সারসাইজ করে তুলতে পারে আপনার শরীর ও মন কে প্রফুল্ল।।এক্সারসাইজ বলতে একেবারেই জিম-এ গিয়ে হেভি এক্সারসাইজ কিন্তু নয়। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পরিচিত কারোর সাথে কিংবা ফ্যামিলি মেম্বার এর সাথে গল্প করতে করতে হেঁটে আসুন, দেখবেন সারাদিন ভালো যাবে।। কিন্তু অবশ্যই নিয়ম মাফিক।
৪. পাঠাভ্যাস ও বিনোদনঃ পাঠ্যবই বা অফিসের দরকারি কাগজ পত্রের বাইরে প্রতিদিন কিছু না কিছু পড়তে হবে। গল্পের বই বা আপনার পছন্দের যেকোন ধরনের।।পাশাপাশি সংস্কৃতির চর্চা, সংগীত, ছবি আঁকা, নাচ করতে পারেন।
৫. প্রার্থনাঃ অবশেষে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যে যার জায়গা থেকে যার যার ধর্ম অনুযায়ী সৃষ্টি কর্তার রহমত প্রার্থনা করুন।
আশা করি আপনার দিনগুলো অনেক ভালো যাবে।শরীর ও মন যদি ভালো থাকে,তাহলে দিনটা সুন্দরই তো হবে।
Leave a Reply