শার্শায় প্রেমের সম্পর্কে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এসএসসি এক পরীক্ষার্থী (১৮)। ধর্ষণর শিকার কিশোরী প্রেমের সম্পর্কে প্রেমিক হাসান আলীকে রাতে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর স্থানীয় তিনজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে পাল্লাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের কন্দপপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর স্থানীয়দের হাতে প্রেমিক হাসানসহ একজন আটক হলেও আরো তিনজন পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বড় নিজামপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী শাহাজাহান মল্লিকের ছেলে হাসান আলী (২০), একই গ্রামের রিজাউল করিমের ছেলে মাসুদ (২০)।
এছাড়া এই ঘটনায় জড়িত একই ইউনিয়ের কন্দপপুর গ্রামের মিজান চৌকিদারে ছেলে নুরুজ্জামান (২৭), ফটিকের ছেলে সাকিব (২৮), জাহানের ছেলে নাসিম হোসেন (২৮) পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্যের তথ্যসূত্রে জানা যায়, ভিকটিম কিশোরীর মা অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি থাকাতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফাঁকা বাড়িতে মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রেমিক হাসান আলীকে নিয়ে আসে। এবং তারা একই রুমে অবস্থান করছিলো। পাশের একটি চায়ের দোকানে অবস্থান করছিল হাসানের বন্ধু মাসুদ। একই সময়ে ঐ এলাকার তিন যুবক নুরুজ্জামান, সাকিব ও নাসিম বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাদের দুজনকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত দেখে দুই বন্ধু ও ভিকটিম কিশোরীকে আটক করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনজন মিলে পাল্লাক্রমে জোরপূর্বক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণ শেষে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের লোকজনকে বলে মেয়েটির সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকাতে প্রেমিকসহ বন্ধু মাসুদকে আটক করেন তারা। এরপর স্থানীয় লোকজন আটক হাসান আলী ও মাসুদকে পরবর্তীতে গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের সংবাদ দিলে ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে শার্শা থানায় নিয়ে যায়।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এখনো থানায় কোন অভিযোগ পায়নি। মেয়েটি যেহেতু এসএসসি পরীক্ষার্থী সে কারণে তাকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেয়েটির জবানবন্দী গ্রহণ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply