যশোরের নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের জামতলার পাঁচপুকুর নামক এলাকার ওরিয়েনটাল ওয়েল কোম্পানি লিঃ ফ্যাক্টারির সামনে থেকে ৯ কজি ৭শ ৫৮ গ্রাম ওজনের ৩০টি স্বর্নের বারসহ রবিন (৩৫) পিতা আবুল সরকার ও আবুল কাশেম (৩৫) পিতা কবির হোসেন নামে দুইজন স্বর্ন পাচারকারীকে ১টি প্রাইভেট কারসহ (ঢাকা মেট্রো-গ ২২-০৪২৪) আটক করেছে যশোর ডিবি ও শার্শা থানা পুলিশের সদস্যরা। শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে স্বর্নের বারসহ পাচারকারীদের আটক করা হয়। আটক উভয়ের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা ও দাউদকানদি উপজেলার সাজাদিয়া এলাকার বাসিন্দা।
স্বর্ন উদ্ধারের সময় পুলিশ ও পাচারকারীদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল যোগে প্রায় ৫০-৬০ জন যুবক পুলিশের উপর বোমা বর্ষন করে। আত্মরক্ষার্তে পুলিশ গুলি এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ সময় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হয়। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান।
যশোরের নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান বলেন, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে নাভারন সাতক্ষীরা সড়কের জামতলা এলাকার পাঁচপুকুর নামক স্থানে অভিযান চালায় যশোর ডিবি ও শার্শা থানার টহলদলের পুলিশ সদস্যরা। কৌশলে ছদ্মবেশে দীর্ঘদিন ধরে স্বর্নপাচার করে আসছে সীমান্তের গডফাদাররা। সীমান্ত পথে ভারতে স্বর্ন পাচারকালে তাদের আটক করা হয়। এ সময় রবিনের শরীরে ও গাড়ির মধ্যে কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম ওজনের ৩০ পিস সোনারবার পাওয়া যায়। যার মুল্য আনুমানিক সাড়ে ৭ কোটি টাকা। স্বর্নসহ পাচারকারীদের শার্শা থানায় সোপর্দ করা হবে এবং আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও জানান, স্বর্ণের পাচার রোধে সীমান্ত এলাকায় স্বর্ণ চোরাচালানের গডফাদারদের চিহ্নিত করে আইনের আওতাই আনা হবে। এবং এ ধরনের কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করা হবে।
Leave a Reply