শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
নোবিপ্রবিতে জাতীয় হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব ১৮ জুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বরখাস্ত নোবিপ্রবি শিক্ষক : ছাত্রীরও শাস্তির দাবি শিক্ষার্থীদের  নোবিপ্রবিতে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন নিয়ম না মানলেও প্রমোশন: নোবিপ্রবির প্রভাষক বিতর্কে প্রশাসন নোবিপ্রবির ১৩ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট লোকদের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি নোবিপ্রবিতে স্বপ্ন দেখিয়ে অচলাবস্থা, নীরব দর্শক বিএমবি চেয়ারম্যান নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য! পেশাজীবি লীগ নামে নোবিপ্রবিতে আওয়ামী লীগের গোপন তৎপরতা দাবি না মানলে রংপুর অচল করে দেয়ার হুমকি পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঝিনাইগাতী’র নেতৃত্বে হুরায়রা ও শাহীন চকরিয়ার হারবাংয়ে বনের হরিণ শিকার করে জবাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে: নোবিপ্রবি উপাচার্য পুসাজের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত চকরিয়ায় পুলিশের উপর হামলাসহ একাধিক ডাকাতি; গ্রেপ্তার ৩ আটঘরিয়ায় কোর্টের রায় অমান্য করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা দুই ছাত্রদল নেতার জন্য নিয়মবহির্ভূতভাবে মাস্টার্স চালু করলো নোবিপ্রবি কৃষি বিভাগ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভলিবল খেলা নিয়ে মারামারি : দুদিন বন্ধ একাডেমিক কার্যক্রম  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহার নিয়ে ঢাবিতে আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম কুয়েটে ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে মশাল মিছিল অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে আপনারা সাংবাদিকতাকে উপভোগ করুন : সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব  রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক স্পীকিং ও প্রেজেন্টেশন বিষয়ক কর্মশালা আয়োজিত গোপালগঞ্জ জেলা রোভার স্কাউটের ত্রৈবার্ষিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫ উদ্বোধন হাবিব-ফায়েজের নেতৃত্বে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আত্মপ্রকাশ নোবিপ্রবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মসূচির ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল  স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে এবার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি 

শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন ঠেকাতে দেশে আলাদা ট্রাইবুনাল গঠনের প্রয়োজন

মতামত ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৮০২ ০০০ বার

শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন ঠেকাতে দেশে আলাদা ট্রাইবুনাল গঠনের প্রয়োজন।

 

দেশে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা একটা সমিতি গঠন করা উচিত।যারা শিক্ষার্থীদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করবে।আর শিক্ষার্থীদের উপর হওয়া বিভিন্ন নির্যাতন প্রতিরোধে আলাদা ট্রাইবুনাল গঠনের খুব বেশি প্রয়োজন। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক বিচার ও শৃঙ্খলার দায়িত্ব তারা বহন করবে।

ছাত্র-ছাত্রীদের পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে তারা। নির্দিষ্ট আইন অনুযায়ী কাজ করবে তারা।
যেন দেশের যেকোনো প্রান্তে অবস্থানরত কোনো শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে।
দেশের উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিজের বাড়ি থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে পড়াশুনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান নিজ বাসস্থান থেকে অনেক দূরে হওয়ায় শিক্ষার্থীকে পরিবার পরিজন ছেড়ে দূরে থাকতে হয়।
এমতাবস্থায় সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশেপাশে বসবাসরত প্রতিবেশী আর বন্ধুবান্ধবই তাদের একমাত্র ভরসা,যারা বিপদে সাহায্য করবে।
কিন্তু সেখানে প্রতিবেশি, শ্রমিক, বা বন্ধুবান্ধব, বড়ভাই-আপুদের থেকেই যদি নিগ্রহের, ও নির্মম বর্বরতার শিকার হতে হয় তাহলে আর নিরাপত্তা কই? আমরা আবরারের ঘটনা দেখেছি, গতকাল আর আজকের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা দেখছি।এমন ঘটনা আরো ঘটেছে।
একটা প্রশ্ন তো থেকেই যায় যে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কোথায়?
কার ভরসায় বাবা মা তার আদরের সন্তানকে এতো দূরে বিদ্যালাভ করতে পাঠাবে?
বর্তমানে শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে ও বাইরের মানুষের সাথে দাঙ্গা, হাঙ্গামার ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনার মতো হয়ে গেছে। কিছুদিন পরপরই এসব ঘটনা শোনা যায়। আর তারপর ই শুরু হয় সঠিক বিচার লাভের আশায় আন্দোলন,বিক্ষোভ।
মাঝে মাঝে এই বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ তাদের বল প্রয়োগ করে।কখনো কখনো অনেক শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে জেলে বন্দি করা হয়। আর তখনি সেই শিক্ষার্থীর জীবনে একটা দাগ লেগে যায়। যা তার চাকরিজীবনসহ সবখানেই বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
এইভাবেই অনেক শিক্ষার্থী রাজনীতিতে প্রবেশ করে ক্যারিয়ারও নষ্ট করে।যা তার পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে। এতে তার জীবন হতাশায় ছেয়ে যায়।
এসবের দায় কে নেবে?
মাঝে মাঝে এই ঘটনাগুলোর প্রভাব কিছু কিছু ছেলে- মেয়ের জীবনে বিরূপভাবে পরে। পরিবার এসব ঘটনার পূর্বচিন্তা করে তাকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে।মেয়েদেরবিবাহ নামক বাধার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেয়। তখন মেয়েটির সব স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। এভাবেই অনেক মেয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।শুধুমাত্র নিরাপত্তার অভাবে।
একটি দেশের উন্নতি কি শুধু শিক্ষিত পুরুষ সমাজের উপর নির্ভর করে? মেয়েদের ভুমিকাকে তো অগ্রাহ্য করলে চলবেনা। মেয়েরা উচ্চশিক্ষিত না হলে শিক্ষিত জাতি গড়বে কে?
এসব দিক বিবেচনা করে একটি সংগঠন/সমিতির ও ট্রাইবুনালের অনেক প্রয়োজন বোধ করি।

    1. যেখানে শিক্ষার্থীদের সকল দাবি বিবেচিত হবে।
    2. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধান করা হবে।
    3. কোনো শিক্ষার্থী যেন আর্থিক অভাব,সামাজিক ও পারিবারিক বাধার কবলে পরে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয় সেই বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে।
    4. শিক্ষার্থীদের যেন আন্দোলনে নেমে শিক্ষাজীবনের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগেই তাদের সমস্যা নির্মূল করা হয় সে বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।

দেশের কোনো প্রান্তে কোনো শিক্ষার্থী বিপদে পরলে যেন এই সংগঠনটি অভিভাবক এর মতো ভূমিকা পালন করে তাকে সঠিক ভাবে আইনের সহায়তায় বিপদ থেকে মুক্ত করতে পারে।
কড়া আইন বিধান করতে হবে এবং তা কার্যকর করতে হবে।

আমি মনে করি এতে ধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর সমস্যাও কিছুটা নির্মূল হবে। মেয়েরা উচ্চশিক্ষিত হতে পারবে।

লেখাপড়ার জীবনে বারবার আন্দোলনে অংশ নিয়ে দিনশেষে উশৃঙ্খলতার পর্যায়ে চলে যায় অনেকে।

আমরা একটা সুন্দর, শিক্ষিত জাতি চাই। উশৃঙ্খল, বর্বর ও বিগ্রহপটু জাতি নয়।

লেখকঃ সাদিয়া আক্তার অথৈ,
শিক্ষার্থী,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..