গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বৈশ্বিক দূর্যোগ (করোনা ভাইরাস) জনিত কারণে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারী /আধাসরকারী /স্বায়ত্বশাসিত/বেসরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষনা করলেও গরিব অসহায় মানুষদের কাছে চাপ দিয়ে জোড় পূর্বক টাকা আদায় করছেন রুহিয়া ব্র্যাক কর্মচারী জহিরুল ইসলাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২১এপ্রিল বুধবার সকাল রুহিয়া ঘনিমহেষপুর ৪নং ওয়ার্ডে তারা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঘোষনাকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে তাদের কাজ স্বাধীন ভাবে করে চলছেন। ঘনিমহেষপুর ওয়ার্ডের আমিনা, রতনা, রুপছানা, রাজিয়া, সার্থী, হুসনেয়ারা, আলেয়া, পারভিন সহ আরো অনেকে জানান, জহিরুল স্যার ১৮তারিখে আমাদেরকে মোবাইলে কল বলেছে কিস্তির টাকা যোগাড় করে রাখতে। আজ ২১ এপ্রিল বুধবার সকালে তিনি প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে জোড় করে টাকা নেয়। আমাদের কাছে টাকা ছিলনা বলে তিনি ধমক দিয়ে কথা বলেন এবং হাওলাত করাইয়া কিস্তি নেয়। আমরা করোনা ও ছুটির কথা বললে তিনি বলেন, আমরা করোনা মানিনা, আপনাদেরকে কল করা হয়েছে টাকা যোগাড় করে রাখার জন্য। আপনারা টাকা নিয়ে আসেন। ঈদের দিনেও কিস্তি ছাড় দেওয়া হবেনা। কোথায় টাকা পাবেন কি খাবেন সেটা আমাদের দেখা বিষয় না, আমরা টাকা পেলেই হইল। এ বিষয়ে জহিরুল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে কোন মন্তব্য না করেই পালিয়ে যায়। যার গাড়ির নাম্বার প্লেট নং দিনাজপুর -হ ১৭-৪৮৭৮.
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রশাসন জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, করোনা ভাইরাস এর জন্য দেশের সকল সরকারী বেসরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে, কেউ কোন প্রকার কিস্তি নিতে পারবেনা। রুহিয়া ব্র্যাক অফিস এর বিষয়টি আমি আইনগত ভাবে দেখতেছি।
Leave a Reply