খাগড়াছড়ির প্রবীন সাংবাদিক এস চাঙমা সত্যজিৎ এর উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে উত্তাল হয়ে উঠেছে খাগড়াছড়ির রাজপথ। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানিয়েছে পেশাজীবি সাংবাদিক সমাজ।
খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বুধবার (৫ মে ২০২১) সকালে কেইউজে কার্যালয়ের সামনে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব, টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনসহ খাগড়াছড়ির ০৯ উপজেলার সাংবাদিকরা মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।
সংগঠনের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত দেওয়ান এর সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে খাগড়াছড়ির প্রবীন সাংবাদিক ও অরণ্য বার্তা পত্রিকার সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমান রানা, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি জীতেন বড়ুয়া,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ, সাংবাদিক সমীর মল্লিক, কেইউজের রফিকুল ইসলাম, পানছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি জয়নাথ দেব, গুইমারা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন, দীঘিনালা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেন, মাটিরাঙ্গা প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি অন্তর মাহামুদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন ।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল সকালে হামলা চালানো হয় পানছড়ি উপজেলায় প্রবীণ সাংবাদিক এস চাঙমা সত্যজিৎ এর উপর। ঘটনার দিন পানছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলেও পানছড়ি থানার ওসি রহস্যজনক কারণে মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন হামলার শিকার সাংবাদিক এস চাঙমা সত্যজিৎ।
এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এর দাবীতে মানববন্ধন ও মিছিল শেষে সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে হামলাকারীদের বিচারের দাবীতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রেরণ করে।
মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, পানছড়ি প্রেসক্লাবের জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তাবিত ভূমি দেখতে গেলে পানছড়ি প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকদের সামনে সাংবাদিক এস. চাঙমা সত্যজিৎ এর হামলা চালায় ০৩ নং পানছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন ও তার লোকজন।
প্রস্তাবিত জায়গাটি ইউনিয়ন পরিষদের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে হওয়ার অজুহাতে চেয়ারম্যান নাজির হোসেন ও তার লোকজন “উপজেলা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এস. চাঙমা সত্যজিৎ’কে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও পরে কিল ঘুষি মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক ও সুশীল সমাজ প্রতিবাদ জানিয়ে অভিলম্বে জড়িত চেয়ারম্যান নাজির হোসেন ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ শাস্তির দাবীতে আল্টিমেটাম দেয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয় সাংবাদিক নেতারা।
Leave a Reply