কুয়াকাটা ভ্রমণ ছিলো আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় দিন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বৃহস্পতিবার রাতে রওনা হই কুয়াকাটার উদ্দ্যশ্যে। খুব আনন্দ করেছিলাম বাসের মধ্যে।
রাতের খাবার যেহেতু খেয়ে রওনা হয় নাই সেহেতু আমরা বরিশাল গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে নেয়। আমরা রাতের খাবার ডিম খিচুড়ি খেয়েছিলাম। ওখানে এক ঘন্টার মতো কাটাই। এছাড়া ওখানে একটা মজার ঘটনাও ঘটে। আমাদের এক সিনিয়র ভাই এর জন্মদিন ছিলো ওইদিন। দোকান থেকে একটা কেক কিনে এনে পালন করি আমরা সবাই মিলে। অনেকটা স্বপ্নের মতো হয়ে গেলো।
এরপর আবার আমরা রওনা হই কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে। আমরা কুয়াকাটা পৌছাই রাত ৪টার দিকে। আমরা গিয়ে একটা বিড়ম্বনায় পড়ি। যদিও আমাদের হোটেলের রুম বুকিং করা ছিলো। তাও একটা ঝামেলা পোহাতে হলো। এরপরে বাকিটা ছিলো একটা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
সকাল বেলা সবাই গেলাম সৈকতে। সে কি অভিজ্ঞতা! সকালের স্নিগ্ধ বাতাসের সমুদ্র বিলাস দেখছি। অস্থির এক অনুভূতি ছিলো। এরপরে আমরা সবাই হোটেলে এসে সকালের নাস্তা করি।সবাই নাস্তা শেষ করে একটু রেস্ট নিয়ে আবার সৈকতে যাই। এবং সবাই একসাথে সমুদ্রে নেমে যাই। প্রচুর মজা করেছিলাম। ৪ ঘন্টা ধরে সমুদ্রের বুকে দাপিয়ে বেড়িয়েছিলাম।
এরপরে হোটেলে ফিরে এসে ফ্রেশ হই। এবং দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। সবাই যে যার মতো করে রেস্ট নিলো। বিকেলে কেউ সৈকতে গেলো ঘুরতে, আবার কেউ রাখাইন পল্লিতে গেলা আবার কেউ রাখাইন মার্কেটে গেলো। আমি অবশ্য সৈকতে এবং রাখাইন মার্কেটে গিয়েছিলাম। এরপর সন্ধ্যায় হলো সামুদ্রিক মাছে বার্বিকিউ। উহ! সেই কথা সারাজীবন মনে থাকবে। রাতে আবার গেলাম সমুদ্রের কাছে। রাতের সমুদ্রের গর্জন ছিলো অসাধারণ। যেনো আমার সাথে হাজারো ঢেউ খেলা করছিলো। ওখানে রাত ১১ টা পর্যন্ত ছিলাম। এরপরে আমরা হোটেল ছেড়ে রাত ১২ টার দিকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে রওনা হই। ভোর বেলা আমরা ক্যাম্পাসে পৌছাই। কুয়াকাটা ভ্রমণ ছিলো আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ভ্রমণ। সারাজীবন মনে থাকবে এই ভ্রমণটা।
লেখকঃ সজল আহমেদ, শিক্ষার্থী , মার্কেটিং বিভাগ,তৃতীয় বর্ষ।
Leave a Reply