গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি তারিক লিটু ‘চারণ সাংবাদিক রতন সরকার স্মৃতি পদক–২০২৪’ পেয়েছেন।
সত্যনিষ্ঠ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং দুর্নীতিবিরোধী সাহসী রিপোর্টিংয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ বুধবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)-এর আয়োজনে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাঁকে এ পদক প্রদান করা হয়।
পদকটি তুলে দেন সংগঠনের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের খ্যাতনামা সম্পাদকবৃন্দ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “তারিক লিটু শুধু একজন তরুণ সাংবাদিকই নন, তিনি মাঠপর্যায়ে জনস্বার্থ রক্ষার এক নির্ভীক কণ্ঠস্বর। তাঁর লেখনিতে বারবার উঠে এসেছে প্রান্তিক মানুষের দুর্ভোগ, প্রশাসনের ব্যর্থতা আর দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচনের দৃশ্য।”
গোবিপ্রবিতে অধ্যয়নকালে সাংবাদিকতা শুরু করেন লিটু। ২০১৬ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘গোবিপ্রবি প্রেসক্লাব’। সাহসী রিপোর্টের কারণে একাধিকবার হামলা ও মামলার শিকার হয়েও কখনো পিছু হটেননি তিনি। প্রতিকূলতাকে রূপ দিয়েছেন অনুপ্রেরণায়।
বিশ্ববিদ্যালয়-পর্ব শেষে তিনি কাজ করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম—সমকাল, জাগো নিউজ এবং যায়যায়দিন-এ। বর্তমানে তিনি ইংরেজি দৈনিক লিবার্টি নিউজ-এর বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তারিক লিটুর সাংবাদিকতা কখনোই ইভেন্টকেন্দ্রিক ছিল না। বরং তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান, বন ও ভূমি দখলদারদের মুখোশ উন্মোচন এবং খুলনার উপকূলবর্তী কয়রার উন্নয়নবঞ্চনার মতো বিষয় নিয়ে করেছেন ধারাবাহিক প্রতিবেদন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অগ্রগামী। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কয়রায় ত্রাণ তৎপরতা, শিক্ষাসহায়তা ও পরিবেশ রক্ষায় নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
পদকপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় তারিক লিটু বলেন,
“এই সম্মাননা শুধু আমার একার নয়, দেশের প্রতিটি প্রান্তে কাজ করা সাংবাদিকদের; যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সত্য প্রকাশে অটল থাকেন। সাংবাদিকতা হবে মানুষের পাশে, ন্যায়ের পক্ষে।” তিনি আরও বলেন, “ক্যাম্পাস থেকে মফস্বল—সত্য বলার জায়গাগুলো আরও নিরাপদ করা গেলে, সমাজ যেমন উপকৃত হবে, তেমনি রাষ্ট্রও পাবে স্বচ্ছতার মানচিত্র।”
Leave a Reply