করোনায় গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়, তারপর কলেজ,স্কুল ও সর্বশেষ প্রাইমারি স্কুলগুলো খুলতে চাচ্ছে সরকার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আবাসিক হলগুলো।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই থাকেন আবাসিক হলে।এসব আবাসিক হলে আসনসংখ্যার তিন-চার গুণ বেশি শিক্ষার্থী অবস্থান করেন।আর প্রতি হলেই রয়েছে গণরুম।যেখানে এক সাথে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী থাকার বিষয়টিও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে এসেছে।ফলে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় খুললে স্বাস্থ্যবিধি মানা বা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।তবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এদিক দিয়ে কিছুটা হলেও ভালো অবস্থায় থাকবে।
এদিকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ সহনশীল হয়ে আসবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।এক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ খোলা হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ গতকাল দেশের অন্যতম প্রধান একটি গণমাধ্যমে বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলের যে রুমে চারজন থাকার কথা সেই রুমে থাকে ছয় থেকে আটজন। গণরুমে থাকে ৩০ থেকে ৪০ জন পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে বিভিন্ন উপায়ে ক্লাসরুমে হয়তো সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু আবাসিক হলে সম্ভব নয়। সেখানে একজনের করোনা হলে দশজন আক্রান্ত হতে পারে। এ জন্য আমরা আরো পর্যবেক্ষণ করতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘তবে যাদের আবাসিক হল নেই বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পক্ষে অবশ্য বিষয়টি ম্যানেজ করা সম্ভব। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা আছে। আমরা আশা করছি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে এ ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে নির্দেশনা পাব।’
এদিকে ইউজিসি চেয়ারম্যান এর কথা থেকে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে আভাস পাওয়া গেলেও আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply