করোনা পরিস্থিতিতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে গতবছরের ১৭ই মার্চ থেকে। এদিকে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সীমিত পরিসরে স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এরপর করোনা সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। আর স্কুল-কলেজের সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে পৃথক কোনো নির্দেশনা জারি করা হবে না ও প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলে আগেই জানিয়েছে ইউজিসি।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল সোমবার জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে একেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, হলের আসন ও হলে থাকা শিক্ষার্থীর সংখ্যাসহ নানা তথ্য চাওয়া হয়। কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান কালের একাধিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের চাহিদার আলোকে সব তথ্য আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনায় সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ রয়েছে। ফলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বন্ধ আছে। তবে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশনা জারি করলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও খুলবে। এ জন্য ইউজিসির কোনো পরামর্শের প্রয়োজন নেই। তারা নিজেরাই তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। তবে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে করণীয় নির্ধারণে আমরা বৈঠক করব, পরামর্শ দেব।’
এদিকে এক বর্ষের ক্লাস সপ্তাহে একবারই নেয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখবেন বলে জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকার যখন স্কুল-কলেজ খুলবে তখন আমরাও বিশ্ববিদ্যালয় খুলব। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে সব শিক্ষার্থীকে এক দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা সম্ভব হবে না। হয়তো একটি বর্ষের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে এক দিন ক্লাসে আনতে হবে। আমাদের এসংক্রান্ত একটি কমিটি রয়েছে। কিভাবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, সে ব্যাপারে ওই কমিটি কাজ করছে।’
Leave a Reply