বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
নজরুলের ৪৯তম প্রয়াণ দিবসে নোবিপ্রবি ‘শব্দকুটির’-এর আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ২৫ গোবিপ্রবিতে সীমানা প্রাচীর, গেইট ও নতুন হল নির্মাণের দাবিতে ছাত্রদলের স্মারকলিপি জেলে সম্প্রদায়: জলাশয়ের সনে মিত্রতা নদী ভাঙ্গন: অস্তিত্বে দিশাহীন প্রান্তিক মানুষ নিখোঁজ মেয়ের খোঁজে পথে পথে বাবা সবুজ গ্রামবাংলা: নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও জীবন্ত চিত্র মানবিক চেতনাবোধ: জীবের প্রতি প্রেম যবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপক ড. ফিরোজ কবির সাময়িক বরখাস্ত, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ প্রথম আলোতে ভুল সংবাদ প্রকাশে রবিসাসের তীব্র নিন্দা আশ্বাসের ফাঁদে আটকে নোবিপ্রবির একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন মডেল হতে পারে বরিশাল : শারমিন বিনতে সিদ্দিক মেধা ও মননের বিকাশে নেভি এ্যাংকরেজ স্কুলের বার্ষিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন জমি বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা, পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান বর্ষা বন্দনা: প্রকৃতি এবং জনজীবন কয়রার মহারাজপুরে ভিডব্লিউবি সঞ্চয় নিয়ে গুজব, চক্রান্তের মুখে চেয়ারম্যান মাহমুদ নোবিপ্রবিতে শিক্ষক বাদশা মিয়ার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মশাল মিছিল সাহসী সাংবাদিকতার জন্য পুরস্কৃত হলেন গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি লিটু দুর্নীতি-অনিয়ম ঠেকিয়ে স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন ইউএনও রুলি বিশ্বাস নোবিপ্রবিতে শিক্ষক নিয়োগ বিতর্কে নেপথ্যে যা জানা গেল হামলার শিকার নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন সভায় হামলা, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর ছাত্র-জনতার উপর হামলার আসামি হারুন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আতঙ্কে এলাকাবাসী জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে যবিপ্রবির ফিজিওথেরাপি বিভাগে দোয়া মাহফিল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে “কুইজ ও আলোচনা সভা” অনুষ্ঠিত 

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বিজয়ের পূর্ণতা

বাংলাদেশ সারাবেলা বিশেষ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৭৪৬ ০০০ বার

দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর বিজয় অর্জিত হলেও এই বিজয়ের পূর্নতা পায় ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যখন বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতার বীজ বপনকারী, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আসেন।

পাকিস্তানের কারাগার থেকে দীর্ঘ সাড়ে নয় মাস পর মুক্তি পেয়ে ৯ জানুয়ারি ১৯৭২, বঙ্গবন্ধু যখন লন্ডনের হিথ্রু বিমানবন্দরে পৌঁছান, তারপরই বাঙ্গালী জাতি জানতে পারে, তাদের প্রানের নেতা পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। মুহূর্তের মধ্যেই বাংলার আকাশ বাতাসে এই সুসংবাদের কথা ছড়িয়ে পড়ে।লন্ডন থেকে ঢাকা আসার পথে, ভারতে যাত্রা বিরতি ছিল নয়াদিল্লিতে। বিমানবন্দরে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানান।

ভারতের মাটিতে লাখো মানুষ বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানান। বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির পক্ষে মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সরকার ও জনগণের ভুমিকার কথা কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন ও ধন্যবাদ জানান।

বাংলার মুক্তিকামী মানুষের মাঝে এই দিনটি ছিল আবেগ আপ্লূত আনন্দে ভরপুর, শত দুশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়ে প্রিয় নেতাকে একনজর দেখার অপেক্ষায় লাখো জনতা সেদিন জড়ো হয়েছিল বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দানে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়েছে সারা ঢাকা। যখন শত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে নতুন সূর্যলোকের মতো বাংলার মাটিতে পা দেন স্বাধীনতার মহানায়ক, তখন আনন্দে অশ্রুসজল হয়েছিলো মুক্তিকামী বাংলার মানুষ।
সদ্য স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে পা রেখে কিংবদন্তী এ মহানায়ক শিশুর মত আবেগে আপ্লুত হলেন, আনন্দ ও বেদনার অশ্রুধারা নামল তার দুচোখে।

লক্ষ জনতার বিশাল সমাবেশে ভাষন দিতে গিয়ে সেদিন বঙ্গবন্ধু বারেবারে আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়ছিলেন। লাখো শহীদের আত্মদানের কথা শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরন করে বঙ্গবন্ধু সেদিন বক্তব্য শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেন আমার বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে, আমার জীবনের স্বাদ আজ পূর্ণ হয়েছে, আমার বাংলার মানুষ আজ মুক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এক কোটি বাঙ্গালী ভারতে আশ্রয় দেওয়া, খাবার দেওয়া, মিত্রবাহিনীর সাহায্যের কথা উল্লেখ করে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ও ভারতীয় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

মুক্তিযুদ্ধের শহীদের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার বহু ভাই, বহু কর্মী, বহু মা-বোন আজ দুনিয়ায় নাই, আমি তাদের দেখবো না। আমি আজ বাংলার মানুষকে দেখলাম, বাংলার মাটিকে দেখলাম, বাংলার আকাশকে দেখলাম, বাংলার আবহাওয়াকে অনুভব করলাম। বাংলাকে আমি সালাম জানাই। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় বড় ভালবাসি, বোধহয় তারজন্যই আমায় ডেকে নিয়ে এসেছে।

বঙ্গবন্ধু এই দেশকে শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার করেছিলেন । তাই দেশের মাটিতে পা রেখেই প্রথম বক্তব্যে কিছু দিকনির্দেশনা মূলক কথা বলেছিলেন। আজ থেকে আমার অনুরোধ একজন নেতা হিসাবে নয়, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়, আমি তোমাদের ভাই তোমরা আমার ভাই।

উনি বলেছিলেন এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে, যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না, যদি আমার মা-বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবেনা, যদি এ দেশের যুবক যারা আছে তারা চাকরি না পায়।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের উন্নয়নে আশু পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উনি জনসাধারণের প্রতি আহবান জানান। রাস্তা ঘাট যেগুলো ভেঙে গিয়েছে সেগুলো তোমাদের নিজেদের ঠিক করতে, জমিতে ফসল তোমাদের নিজেদের ফলাতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে উনি সকলকে ঘুষ না খেতে অনুরোধ করেন।

বঙ্গবন্ধুর এই দেখানো পথে হাটছেন তার যোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বর্তমান সারা বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ। শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে , সারা বিশ্ব অবাক বিশ্বয়ে দেখবে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক:
মোঃ শফিকুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..