কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির হুসেইনের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি ড. মো: মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সুপারনিউমারি অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ এর ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ড. লিয়াকত হোসেন মোড়ল।
প্রধান আলোচকের আলোচনায় অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ১০ই জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের তিনটি তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, লেনিন যদি রাশিয়া না ফিরতেন তাহলে ব্লশেভিক বিপ্লব হত না, তেমনি বঙ্গবন্ধু যদি না ফিরতেন তাহলে বাংলাদেশের অস্থিত্ব নিয়ে সংশয় তৈরি হত। ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে ফেরার মধ্যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি বাস্তব রূপ পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, সে বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশে ডোকলেন তখন তিনি ক্ষমতায় ফিরলেন, বাংলাদেশ নিয়েই ফিরলেন। ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল সংগ্রামী আগামীর ইঙ্গিত আর ১০ই জানুয়ারির ভাষণ ছিল সংগ্রামের সাফল্য নিয়ে তিতো হওয়ার দিক নির্দেশনা।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আমরা জানি না চিনি না। তাকেঁ জানতে হলে তাকেঁ পাঠ করতে হয়। ইতিহাসহীনতার কারণে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে টানা হিচঁড়া হয়, বাঙালী ভুলে গেছে বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধু জানতে হবে, শিখতে হবে, পাঠ করতে হবে এবং তাকেঁ কিভাবে উপস্থাপন করতে হয় তা আমাদের চর্চা করতে হবে। বিগত ৫০ বছরে আমরা আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারিনি।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শব্দটি কি সে সম্পর্কে বর্তমান সরকার জানেন বলে আমার মনে হয়না। এই মুহুর্তে বাংলাদেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয় নেই। বিশ^বিদ্যালয়ের যে সংজ্ঞা সে হিসাবে নেই, বাংলাদেশে কোন উপাচার্য নেই। রাষ্ট্রপতি কখনো আচার্য্য হতে পারেনা। উপাচার্যরা দলীয় পাহারাদার।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিক বৃন্দ, শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply