স্বল্প ব্যবধানে বৃত্তিমূলক পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এতে মানষিক বিপর্যয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সেকেন্ড প্রফের শিক্ষার্থীরা।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সেকেন্ড ইয়ারের রুটিন প্রকাশিত হয়। দীর্ঘ এক বছর বিরতির পর মাত্র ১৮ দিনের ব্যবধানে পরিক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
অথচ চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রায় ১ মাস ব্যবধানে পরিক্ষার তারিখ নির্ধারিত হয় ।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দ্বিতীয় বৃত্তিমূলক পরিক্ষার শিক্ষার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করছে এবং তারা জানিয়েছে যে , এত কম সময়ের সিলেবাস আয়ত্তে আনা তাদের পক্ষে কষ্টকর এবং তারা বাধ্য হয়েই অসম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই দ্বিতীয় বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে।।
এক্ষেত্রে কয়েক জন শিক্ষার্থী বলেছে, তাদের পরিক্ষা কমপক্ষে আর এক সপ্তাহ পরে অনুষ্ঠিত হলে তারা সম্পূর্ণ রূপে প্রস্তুতি নিতে পারত।
তারমধ্যে আবার ১৩ তারিখ থেকে টার্ম পরীক্ষা শুরু করায়, বাস্তবিক পক্ষে বৃত্তি মুলক পরীক্ষার প্রস্তুতি এক হিসেবে অবাস্তব হয়ে পড়েছে!
বৃত্তিমূলক পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা সারা বছরের পড়াকে সম্পূর্ণরূপে নিজের আয়ত্তে আনার চেষ্টা করে।
অসম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে কখনো ভালো ডাক্তার হওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সময় বৃদ্ধি করলে তাদের প্রস্তুতি ভালো হবে এবং তা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে ।
পরিবর্তীতে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী এতটাই মর্মাহত হয়েছে যে ,তারা শুধু একটা বিষয়ের উপর বিশেষ জোর দিয়ে পড়াশোনা শুরু করছে এবং অন্য বিষয় ‘ক্যারী অন’ করার চিন্তা করছে। অনেকে পুরোপুরি অংশগ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত রাখার চিন্তা ও করছে , যা খুব ই বেদনা দায়ক বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply