গত ১০ অক্টোবর পেকুয়ায় উপজেলা মগনামার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী আবু ছৈয়দ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। হত্যাকান্ডের সময় বিদেশে ছিলেন এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম। হত্যা মামলায় ২ মাস ১৮ দিন পর আসামী করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
গত বুধবার রাত ১০ টাকা দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা মইজ্জারটেক এলাকা থেকে শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমকে আটক করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে তাঁর বিরুদ্ধে কোন মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকায় পেকুয়া থানায় হস্তান্তর করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর দিনদুপুরে মগনামায় আফজলিয়া পাড়া এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু ছৈয়দকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে একই এলাকার সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আবু ছৈয়দের ছেলে মোহাম্মদ ইমন বাদী হয়ে ২৪ জনকে আসামী করে পেকুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করে। হত্যাকান্ডে জড়িত একাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ওই হত্যাকান্ডের সময় সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াসিম ছিলেন বিদেশে।
দীর্ঘ দুই মাস ১৮ দিন পরে ওই হত্যাকান্ডে নতুন আসামি করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
ওয়াসিমের ছোট ভাই জোনায়েদ ইশরাক চৌধুরী বাবু বলেন, মগনামার শীর্ষ সন্ত্রাসী বহু মামলার আসামি আবু ছৈয়দকে দিনে-দুপুরে হত্যা করা হয়েছে। কারা আবু ছৈয়দকে হত্যা করছে ঘটনার সংঘটিত হওয়ার পর তার শাশুড়ী সাংবাদিকদের বলেছে। এই ঘটনার সময় আমার ভাই দেশের বাইরে ছিলো। কিন্তু ওই হত্যাকন্ডে দীর্ঘদিন পর আমার ভাইকে আসামি করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এটি তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
কক্সবাজার-১ চকরিয়া – পেকুয়ার সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম বলেন, আমার পক্ষে যারা নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে তাঁদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা আটক করে অস্ত্র ও কাল্পনিক মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হচ্ছে। আমার সমর্থকদের পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে আমাকে। ইতিমধ্যে চকরিয়া – পেকুয়ার ১৭ জন জনপ্রতিনিধি সিইসি বরাবর তাঁদের নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
Leave a Reply