২০২১ সালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ নানা সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এদের মধ্যে কেউ অস্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন। কারও মৃত্যু হয়েছে রোগে, সড়ক দুর্ঘটনা এবং মানসিক হতাশা থেকে। শিক্ষার্থীদের মানসিক হতাশা কাটাতে কাজ করার কথা জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
সর্বশেষ গত ৭ ডিসেম্বর নোয়াখালী শহরের সোনাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয় ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অজয় মজুমদার। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে মান্নান নগর যাওয়ার পথে সিএনজি থেকে নামার সময় ট্রাকচাপায় আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
অজয় মজুমদার (২৩) নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের বাদল চন্দ্র মজুমদারের ছেলে।
বোনের স্মার্টফোন কেনা নিয়ে পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্বে হতাশায় ভুগে আত্মহত্যা করেছেন কৃষি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ফারহানুজ্জামান রাকিন। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ৩১ মে সকাল ১১টার দিকে নিজ বাসায় বাথরুমের শাওয়ারের সঙ্গে ডিশের তার বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের (২০২০) সেপ্টেম্বরে ছোট বোনের (এইচএসসি পরিক্ষার্থী) মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে মা ও বোনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয় রাকিনের। দীর্ঘ সময় ধরে চলে এই দ্বন্দ্ব। কলেজ পড়ুয়া ছোটবোন মায়ের কাছে মোবাইল ফোন দাবি করলে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়াশোনার ক্ষতি বলে রাকিন তার মাকে মোবাইল কিনে দিতে নিষেধ করে। সে চেয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর মোবাইল কিনে দিতে। এসব বিষয় নিয়েই মা ও বোনের সঙ্গে রাকিনের মনোমালিন্য হয়। যা চরম আকার ধারণ করে।
রাকিনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া থানার শ্রীরামপুর গ্রামে। তার বাবা মনিরুজ্জামান প্রবাসী। মা ও বোনের সঙ্গে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় থাকতেন রাকিন।
এর আগের মাসে ৫ এপ্রিল করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান সমাজ কর্ম বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী রিমা আক্তার। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রিমা আক্তারের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হওয়ার পর তার মৃত্যু ঘটে। রিমার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্হিত।
Leave a Reply