গণধর্ষণ ও ধর্ষণের প্রতিবাদে দিন দিন আন্দােলন দানা বাঁধত শুরু করেছে ঈশ্বরদীতে। গত পাঁচ দিন ধরে শহরের প্রেসক্লাবের সামনে, রেলগেট সহ বিভিন্ন সড়েকর সামনে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষেরা।
গত ৫ অক্টোবর ঈশ্বরদীতে সর্বপ্রথম ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
গত ৫ অক্টোবর সোমবার, বাংলাদেশ সারাবেলা ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ আব্দুল মুকিত বিশ্বাসের উদ্যোগে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বন্ধে সাত দফা দাবি নিয়ে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।
এরপর থেকে প্রতিদিনই চলছে আন্দোলন।
গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ধর্ষণ বিরোধী প্রথম মানববন্ধ উপস্থিত ছিলেন শাহরিয়ার নাফিজ স্বরন, সঞ্জয় চৌধুরী, জোবায়ের আহমেদ, দুর্জয় কর্মকার, নাবিল আহমেদ রুদ্র, পাপ্পু, সাদমান সাকিব আমান,তন্ময়, জীম,আরিফ, সাওম সহ আরো অনেকেই।
পরদিন থেকে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচি শুরু করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ভয়েস অব ঈশ্বরদী, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ব্যানারে।
গত ৬ অক্টোবর সকাল ১০ঘটিকায় ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাবের সামনে ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে বর্তমান সময়ে একাধারে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও এর বিচারহীনতার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে একটি মানববন্ধন করা হয়।
উক্ত মানববন্ধনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
এরপরদিন গত ৭ অক্টোবর মানববন্ধন করে ভয়েস অব ঈশ্বরদী।
ভয়েস অব ঈশ্বরদীর মুখপাত্র জিহাদের নেতৃত্বে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সামনে ধর্ষণ বিরোধী মানববন্ধন করে শিক্ষার্থী ও যুব সমাজ।
বাদ যায়নি গতকাল ৮ অক্টোবর।শহরের রেলগেটে গতকাল সন্ধায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে ধর্ষণ বিরোধী মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় তাদের সাথে যোগ দেন ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুও।
গত ৫ তারিখ থেকে চলা বিরতীহীন ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে আছে ঈশ্বরদী।
Leave a Reply