রংপুর নর্দান (প্রা:) মেডিক্যাল, একটি BMDC অনুমোদন হীন প্রতিষ্ঠান!কলেজ এবং কলেজ সংশ্লিষ্ট অথরিটির দুর্নীতি যেন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
রবিবার প্রায় মধ্যরাতে প্রতিষ্ঠানটির ৩২ জন নেপালী শিক্ষার্থীকে হোস্টেল থেকে বের করে দেয় বাড়ির মালিক। গভীর রাতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়ায় সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। বাধ্য হয়ে দেশীয় শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নেপালীরা রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
গত কিছুদিনের চলমান আন্দোলনের পর,এই ঘটনা সবার দৃস্টি আকর্ষণ হয়
শিক্ষার্থীরা জানান, বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির বিএমডিসি’র অনুমোদন না থাকা সত্বেও বিভিন্ন মামলার কাগজপত্র দেখিয়ে অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে আসছিল এতদিন। পাস করার পরেও ইন্টার্নশীপ করতে না পারায় ইন্টার্নশীপের জন্য এবং রেজিস্ট্রেশনসহ অন্য প্রতিষ্ঠানে মাইগ্রেশনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
কথা বলে জানা যায়,বিমডিসির অনুমোদন না থাকায় ২০১৪-২০১৫ সেশনের শিক্ষার্থীরা পাস করে এক বছরেও internship করতে
পারছে না , এমন পরিস্থিতিতে কলেজের ২০১৫-২০১৬ সেশন থেকে শুরু করে ২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করার লক্ষ্য migration করতে ইচ্ছুক।
নেপালী শিক্ষার্থীরা জানান, অনুমোদনহীন নর্দান মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ ঘোষণা ও মাইগ্রেশনের জন্য পাঁচ দিনব্যাপী চলমান আন্দোলনের কারণে রংপুরে অবস্থিত নর্দান মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়া নেপালী শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই মালিকপক্ষ কৌশলে তাদেরকে রবিবার রাত ১১টার দিকে হোস্টেল থেকে হুমকি ধামকি দিয়ে বের করে দেয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জানান, এই পরিস্থিতিতে নেপালী মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সারা মিলছে না। বরং নেপালী শিক্ষার্থীদের সহায়তা করায় কর্তৃপক্ষের ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী দেশীয় শিক্ষার্থীদের হুমকি দিচ্ছেন। তারাও রয়েছেন চরম উৎকণ্ঠায়।
এ বিষয়ে নর্দান মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, নেপালী শিক্ষার্থীদের আবাসিক হোস্টেল হিসেবে নগরীর পাকার মাথা এলাকায় নুরুল ইসলামের চারতলা ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার ফ্লাট ভাড়া নেওয়া হয়। গত ১১ মাসের ভাড়া বাকি থাকলেও কিছু টাকা পরিশোধ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে একটি অসাধু মহল পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা সাজিয়েছে। দেশের সম্মান রক্ষা ও করোনা দুর্যোগের মাঝেও বিদেশি শিক্ষার্থীদের সব ধরনের টিউশন ফি মওকুফ করা হয়েছে। তাদের কোনো ভয়ভীতি দেখিয়ে আবাসিক থেকে বের করে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
তবে আবাসিক ভবন মালিক নুরুল ইসলাম জানান, এই তিনটি ফ্লাটের মাসিক ভাড়া ৬৫ হাজার টাকা হিসেবে গত আট মাসের ভাড়া বকেয়া আছে। এ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবগত করলেও তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে ব্যাংক ঋণের বোঝা থেকে বাঁচতে তিনি শিক্ষার্থীদের আগে থেকেই বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। রবিবার রাতে শিক্ষার্থীরা বাইরে গেলে ভবনের মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেন তিনি।
এদিকে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। নেপালীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিতে তারা সবসময় সচেষ্ট আছেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। রাতেই নেপালী শিক্ষার্থীদের তাদের আবাসিক ভবনে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশে বর্তমানে বেশ কিছু অনুমোদনহীন প্রাইভেট মেডিকেল চলছে!
তারা ভর্তি বানিজ্য থেকে শুরু করে নানা রকম অপকর্মে জড়িত!
গত বছরও সরকারী ১৯ লাখ টাকার বাইরে, অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বড় অংকের ডোনেশন নিয়ে ভর্তি করা হয়!যার অংক ২৫ লাখ থেকে ৫০ লাখে গিয়ে ঠেকে!
আর মেধাসত্ব বিক্রির অভিযোগ তো অনেক পুরোনো!
অনেক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের নামে,
প্রফেশনাল পরীক্ষার আগে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ আছে!
কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জোর করে ফেল করিয়ে দেয়, যাতে পুনঃ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বাধ্য হয়,এবং মোটা অংকের অর্থ পরিশোধ করে!
ঢাকাস্থ এক মেডিকেলের শিক্ষার্থী বলেন,তিনি ঠিকই ২০ লাখ টাকা দিয়ে ভর্তি হলেও ১ বছরে ফেল করিয়ে বাকিটাকা উসুল করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠান!
তার জন্য বাকী বছরের সঞ্চয় শেষ হয়ে এখন বাকী বছর শেষ করতে পৈত্রিক জমি বিক্রি করতে হবে!
এই যদি দেশের চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর অবস্থা হয় তাহলে দেশ কোনদিকে যাবে..
প্রশ্ন শোষিত অবিভাবক আর শিক্ষার্থীদের
Leave a Reply