পানছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক লাঞ্চিত হয়েছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ০৩ নং পানছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদে গরিব ও দুঃস্থদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা প্রদানের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন ও তার লালিত ক্যডার বাহিনীর হাতে
লাঞ্চিত হয়েছেন।
আক্রমণের শিকার সাংবাদিক এস চাকমা সত্যজিৎ জানান, সংবাদ সংগ্রহের উদ্যেশ্যে পানছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ যাই। অনুষ্ঠান শুরুর দেরি হওয়াতে পরিষদ সংলগ্ন প্রেসক্লাবের নির্ধারিত ভূমিতে অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে আলাপ করছি।
এমন সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নাজির হোসেন তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সেখানে হাজির হয়। আমাকে উদ্যেশ্য করে বলে; চাকমা সাংবাদিক এখানে কি করে? এবং আমি নাকি ইউনিয়ন পরিষদের ভূমি দখল করতে গিয়েছি এমন মন্তব্য করে।
বিষয়টি আমি ঠাট্টা/মসকরা মনে করে তাকে বলি চেয়ারম্যান আমরা যখন বানিয়েছি, পরিষদ তো আমরাই দখল করবো। হঠাৎ সে আমার প্রতি উগ্র হয়ে সাম্প্রদায়িকভাবে হেয় করে অকথ্য ভাষায় মন্তব্য করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার ক্যাডার বাহিনীর আজহার হোসেন, ফারুক, আক্তার সহ আরো কয়েকজন আমাকে কিল-ঘুসি ও লাঠি-সোটা দিয়ে মারতে থাকে। পরে আমার সহকর্মীদের সহযোগীতায় সেখান থেকে আমি উদ্ধার হই।
এ বিষয়ে থানায় অভিযোগপত্র নিয়ে গেলে অফিসার ইনচার্জ মো. দুলাল হোসেন মামলা না রেখে সমাঝোতার কথা বলে বিদায় করে দেয়।
এ বিষয়ে পানছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. আব্দুল মোমিন বলেন, “সত্যজিৎ বাবু আমাদের প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন।ওনি উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তাছাড়া ওনি একজন সাংবাদিকও বটে। তাকে লাঞ্চিতের ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই,সে যেই হোক।”
পানছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাথ দেব বলেন, “এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং ঘটনার সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
তবে এই বিষয়ে জানতে পানছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেনের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিয়েও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply