বনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) বাংলাদেশের কৃষির ঝুঁকি এবং সম্ভবনা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী ভবনের ভিডিও কনফারেন্স রুমে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইয়াহিয়া ব্যাপারীর এম.ফিল প্রোগ্রামের গবেষণাপত্র ‘Farming Decision under Risk and Uncertainty in Bangladesh Agriculture: An Empirical Analysis’ উপর আলোচনা নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করেন অর্থনীতি বিভাগ। অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন। সেমিনারে মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইয়াহিয়া ব্যাপারী।
মূল আলোচনায় বাংলাদেশের চলমান কৃষির অবস্থা, গতানুগতিক ধারায় চাষাবাদ করে যাওয়ার ফলে এদেশের কৃষির কী ধরনের সমস্যা তৈরী হয়েছে সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে। একই সাথে কৃষির বর্তমান অবস্থা থেকে কীভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিকে কীভাবে শিল্পের রূপান্তর করা যায় এবং আগামীবছরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষে বাংলাদেশের কৃষি কীভাবে ভূমিকা পালন করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ইয়াহিয়া ব্যাপারী নয়া শতাব্দীকে বলেন, দেশের মানুষ কৃষিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ব্যবহার না করে গতানুগতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে যাওয়ার ফলে এদেশের কৃষি তেমন আমূল কোন পরিবর্তন হয়নি। অথচ বিশ্বায়নের এই যুগে বিশ্বের অনেক দেশই কৃষিতে সর্বোচ্চ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের কৃষিকে গতানুগতিক ধারা বের করে নিয়ে আসা প্রয়োজন। বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে কৃষিতে যে ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা আছে সেটি কেটে যাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রধান দায়িত্ব হলো গবেষণা কিন্তু বাংলাদেশের অনেক শিক্ষকই সেই জায়গা থেকে দূরে। এই কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণায় আরও বেশি সময় দেওয়া উচিত। কর্মমুখী শিক্ষাটাই হলো বাস্তব শিক্ষা। নিজের অধ্যায়নের বিষয়গুলোকে বাস্তবজীবনে কীভাবে প্রয়োগ করা যায় সেটি আমাদের দেখতে হবে। ইয়াহিয়া ব্যাপারীর এই গবেষণাতে কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে। বাংলাদেশের কৃষি বর্তমান অবস্থা থেকে কীভাবে সামনে আরও বেশি উৎকর্ষ সাধন করতে পারে তার সমাধান এই গবেষণায় উঠে এসেছে।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply