কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘূনিয়া এলাকার ২৬ বছর বয়সী ২ সন্তানের জনক মোঃ শাহাজানের
দুইটি কিডনি একেবারেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন, দ্রুত ডায়ালাইসিস শুরু করতে হবে কিংবা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে দেরি করলে শাহাজান মারা যেতে পারেন।
কিন্তু টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় দিন পার করছেন চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘূণিয়া এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান মোঃ শাহাজান।
সময় যত পার হচ্ছে, চিকিৎসা শুরু করতে না পারার কারণে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও কমে যাচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, শাহাজান ক্রনিক কিডনি ডিজিসে আক্রান্ত।
গ্লোমেরুলার ফিল্টারেশন রেট (জিএফআর) ১৪-তে নেমে গেছে। কিডনি নষ্ট হওয়ার পাঁচটি ধাপের মধ্যে উনি পাঁচ নম্বর ধাপে রয়েছেন। জিএফআর ১৫-এর নিচে নেমে যাওয়াটা খুবই খারাপ অবস্থা। আর ক্রিয়েটিনিন ৫.২-এ উঠে গেছে। সে ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস শুরু কিংবা কিডনি পরিবর্তন করার বিকল্প নেই।
প্রথমে চকরিয়ার বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন শাহাজান। দ্রুত উচ্চতর চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শাহাজানের স্ত্রী কুলসুমা আক্তার বলেন, আমাদের জায়গা-জমি বলতে কিছুই নেই। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন আমার স্বামী শাহাজান। এ পর্যন্ত ৮০-৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার চিকিৎসাবাবদ। যার সবটুকুই মানুষের কাছ থেকে ধার-দেনা করে নিয়েছি। সকলের প্রতি অনুরোধ আমার দুইটি অবুঝ কন্যা সন্তানের দিকে তাকিয়ে হলেও আমার স্বামীকে বাঁচাতে সবার সহযোগিতার হাতটা একটু বাড়িয়ে দিন।
এদিকে দুইটা কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া দরিদ্র পরিবারের সন্তান শাহাজান বলেন, কিডনি বদলানোর সামর্থ্য আল্লাহ আমাকে দেয়নি দেয়নি। মরে যেতে তো কেউ চায় না; টাকা থাকলে ডায়ালাইসিস করে নিতাম। কিন্তু এত টাকা খরচ করে ডায়ালাইসিস করানো আর ওষুধ খাওয়ার মতো সামর্থ্য তো নাই। এভাবে এখন আল্লাহ যতদিন বাঁচিয়ে রাখে।
কিডনির চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বান মানুষ এবং প্রবাসীদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন হতদরিদ্র দুই সন্তানের জনক মোঃ শাহাজান।
যোগাযোগ ও সহায়তা পাঠাতে চাইলে
01873188226 (বিকাশ পার্সোনাল)
Leave a Reply