গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী ইমদাদুলের বিরুদ্ধে চাকরি না করেই বেতন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনে কর্মরত আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন ‘বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব ‘ এর এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, লাইব্রেরি শুক্রবার বন্ধ থাকলেও তিনি শুক্রবারে উপস্থিতি দেখিয়ে মজুরি নেন। এছাড়া পূজা,ঈদ ও রমজান মাসের ছুটিতেও উপস্থিতি দেখিয়ে তিনি বেতন তোলেন। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসের উপস্থিতি খাতায় দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকা ও শুক্রবারের ছুটির দিনেও তিনি উপস্থিতি দেখিয়েছেন। এমনকি অক্টোবর মাসে পূজার ছুটি থাকা ১ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্তও উপস্থিতি দেখান মাস্টার রোলে কর্মরত এই কর্মচারী। শুধু সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসই নয় বরং কয়েক বছর ধরে এভাবেই ছুটির দিনেও উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন তোলেন তিনি। এমনকি কয়েকদিন পরে কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে পূর্বে উপস্থিত না হওয়ার দিনগুলোতে স্বাক্ষর করেন তিনি।
এ বিষয়ে ইমদাদুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরুদ্দিনের আমল থেকেই এমন বেতন দেওয়া হচ্ছে । আমি রাতে ওভারটাইম করি বিধায় সেই সময়টুকু বিবেচনা করে শুক্রবার উপস্থিতি দেখানো হয়।
সেক্ষেত্রে ঈদ পূজার মত বড় বড় ছুটিতেও কেন উপস্থিতি দেখানো হয়েছে এমন প্রশ্নে ইমদাদুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মানবিক কারণে আমাকে এ বেতন দিতে পারে।
এ বিষয়ে লাইব্রেরিয়ান ভারপ্রাপ্ত মোঃ নাছিরুল ইসলাম বলেন, আমি এখনো অক্টোবর মাসের বেতন করিনি। ইমদাদুল নামের মাস্টার রোলের কর্মচারী কেন এভাবে স্বাক্ষর করেছে আমি জানিনা। আমাকে না জানিয়ে সে উপস্থিত খাতায় স্বাক্ষর করেছে। বিষয়টি আমি তার কাছ থেকে জানতে চাইব।
এ বিষয়ে রেজিস্টার মোঃ দলিলুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। রিজেন্ট বোর্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি তিনি পড়ে দেখবেন বলে জানান।
Leave a Reply