কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের এমইউপি শওকত ওসমান ও নাসির কোম্পানির বিরুদ্ধে জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় রাস্তা নির্মাণের নামে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ এনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বারবাকিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ও পহরচাঁদা বনবিট কর্মকর্তা নেতৃত্বে পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শন করা হয়। এসময় ঘটনার সত্যতা পেয়ে পাহাড়খেকো এমইউপি শওকত ওসমান, নাসির কোম্পানি ও মনসুর নামের ৩ ব্যক্তিকে আসামি করে বন আইনে মামলা করে বলে জানা যায়। এছাড়াও এ বিষয়ে খবর পেয়ে গত ১৫ নভেম্বর কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি পরিদর্শক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর তারাও ঘটনার সত্যতা পায় বলে জানান। এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যাওয়ার একদিন পর সাংবাদিকরা কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, তারা সরেজমিন গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং পাহাড় কাটার বিষয়ে সত্যতা পেয়েছে। এঘটনায় পরিবেশ আইনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান। অন্যদিকে, বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শন ও বনবিভাগের মামলা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করার ব্যাপারে খবর পাওয়ার পর মামলা থেকে রেহাই পেতে পাহাড়খেকো এমইউপি শওকত ওসমান ও নাসির কোম্পানি বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করার বিভিন্ন অপচেষ্টা চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করার অপচেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর মামলা থেকে রেহাই পেতে গত ১৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় কিছু লোকজনকে টাকার বিনিময়ে এনে মানববন্ধনের নাটক সাঁজান এমইউপি শওকত ওসমান ও নাসির কোম্পানি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানববন্ধনে আসা কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা টাকা পেয়েছে তাই মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছে। এমনকি এক ব্যক্তি দাম্ভিকতার সাথে বলেন, সারাদিন মাটে কাজ করে পাই ৫০০টাকা কিন্তু এ মানববন্ধনে মাত্র ২০ দাঁড়িয়ে পেয়েছি সারাদিনের বেতন। অপরদিকে, মানববন্ধন নামের সাঁজানো নাটকের পর বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের কাছে তাদের অবস্থান জানতে মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি জানান, যে জায়গাটিতে পাহাড় কাটা হয়েছে সে জায়গাটি আমরা পরিদর্শন করেছি এবং ঘটনার সত্যতাও পেয়েছি। এরপর গত ১০ তারিখ পহরচাঁদা বনবিটের অধীনে পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়েছে। এমনকি বনবিভাগের মামলা পরবর্তী পরিবেশ অধিদপ্তর এসেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তারাও পাহাড় কাটার বিষয়ে সত্যতা পেয়েছে। পাহাড় কাটার সাথে জড়িতরা মামলা থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন নাটক করবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তারা প্রকৃতপক্ষে পাহাড় কাটার সাথে জড়িত থাকার কারণে শত কৌশল অবলম্বন করলেও তারা মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এদিকে, এ ঘটনায় মামলা করার কারণে স্থানীয় সচেতনমহল বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
Leave a Reply