গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ইউজিসি কর্তৃক প্রণয়নকৃত নিয়োগ ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত নূন্যতম নির্দেশিকার অসংগতি ও অস্পষ্টতা দূর করে যুগোপযোগী ও সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি প্রণয়নের দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে মানববন্ধন করেছেন। উক্ত মাবনবন্ধনে
রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মাইনুল আহসান শাওন, বায়োটেকনোলোজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ইমদাদুল হক শরীফ, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বাঁধন মনি, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ ফায়েকুজ্জামান মিয়া, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ এমদাদুল হক, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা প্রমুখ।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ” ইউজিসির যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে আমরা তার বিরোধিতা করছি না। ইউজিসি খোদ বলেছে এটা নূনতম একটি নির্দেশিকা, যাদের এর চেয়ে ভালো আছে তাদের এটি গ্রহণ করবেন না৷ এটি তো বাইবেল না যে মানতেই হবে। আমরা সাত দিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছি দাবি বাস্তবায়নের।
এছাড়া তিনি হাইটেক পার্ক নিয়ে বলেন ” আমরা কখনোই বলিনাই আইসিটি পার্ক আমরা হতে দিব না। আমরা এইটুকু জায়গার মধ্যে আমাদের শিক্ষার্থীদের দাঁড়াতে দিতে পারছি না, একটা টিএসসি দিতে পারছি না। সেখানে আমরা কিভাবে এই স্বল্প জায়গার মধ্যে কমার্শিয়াল একটা প্রতিষ্ঠান হতে দিতে পারি। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল হচ্ছে, তার পাশে বহুতল একটি ভবন হলে ম্যুরাল নান্দনিকতা হারাবে। আমরা চাই আইসিটি পার্ক হোক তবে ৫৫ একরের বাইরে নতুন জায়গা অধিগ্রহণ করে সেখানে হোক। ”
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ আবু সালেহ বলেন, ” শিক্ষকবৃন্দের যৌক্তিক দাবিসমূহের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আগামীকাল থেকে সকাল ১১ টা- দুপুর ১টা পর্যন্ত আমরা অবস্থান কর্মসূচী পালন করব। ‘
প্রসঙ্গত, গত ৮ নভেম্বর থেকে শিক্ষকবৃন্দ দুই দফা দাবী (ইউজিসির অভিন্ন নীতিমালা সংশোধন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে হাইটেক পার্ক) বিরোধিতা করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেন। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতির কথা বিবেচনা করে গত ১৭ নভেম্বর প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২১ নভেম্বর (সোমবার) থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেন। তবে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষকবৃন্দ প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে পূর্বের ন্যায় বিরত থাকবেন বলে ঘোষণা দেন।
Leave a Reply